জানুয়ারি থেকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে যুক্ত হবে আরও ১ ট্রেন
১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন চলাচল শুরু হয়। প্রথমে দুটি ট্রেন দিয়ে চলাচল শুরু হলেও এবার আরও একটি আন্তনগর ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। নতুন এই ট্রেনের নাম এখনো ঠিক করা হয়নি। তবে তিনটি নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো হল—পালংকি এক্সপ্রেস (কক্সবাজারের প্রাচীন নাম), তরঙ্গ এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস।
আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম এসিওপিএস (পূর্ব) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকী সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য বলা হয়েছে।
রেলওয়ে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, এই ট্রেনটি জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। নামগুলোসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবনা দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন ট্রেনের নম্বর হবে ৮১৫ / ৮১৬। এটি কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টায়। চট্টগ্রাম পৌঁছাবে ১০টা ৫০ মিনিটে। সেখানে ১৫ মিনিট বিরতি দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে ১১টা ১৫ মিনিটে আর ঢাকা পৌঁছাবে সকাল ৬টা ৪৩ মিনিটে। এর আগে বিমানবন্দর স্টেশনে বিরতি দেবে। আর ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে আর চট্টগ্রাম পৌঁছাবে ১১টা ২০ মিনিটে। সেখানে ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে ১১টা ৪০ এ ছেড়ে যাবে ও কক্সবাজার পৌঁছাবে বিকেল ৩টায়। এর মাঝে বিমানবন্দর স্টেশনে থামবে।
জানা যায়, এই ট্রেনে ১৬টি বগি থাকবে। এর মধ্যে খাবার গাড়ি ২ টা, এসি চেয়ার ৬ টি, পাওয়ার কার একটা, শোভন চেয়ার ৭ টি। মোট আসন থাকবে ৭৮০ টি। এর মধ্যে এসি চেয়ার ৩৩০টি ও শোভন চেয়ার ৪৫০ টি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, খুলনা-যশোর-মোংলা-যশোর-খুলনা রুটে মোংলা কমিউটার ট্রেন চলবে জানুয়ারি থেকে। এই ট্রেনের নম্বর ১১৩-১১৮। এখানে খুলনা ও যশোরের মধ্যে ১ জোড়া ও যশোর ও মোংলার মধ্যে ২ জোড়া। যাত্রা বিরতি দেওয়া হবে দৌলতপুর, নোয়াপাড়া, যশোর, মোহাম্মদনগর, কাটাখালী। এই ট্রেনের ভাড়া ধরা হয়েছে শোভন সাধারণ ১২৫ টাকা, শোভন চেয়ার ১৫০ টাকা ও প্রথম সিট ২০০ টাকা। এটি খুলনা ছাড়বে ৬টায় আর যশোর পৌঁছাবে ৭টা ১০ মিনিটে। যশোর ছাড়বে ৭টা ৫৫ মিনিটে ও মোংলা পৌঁছাবে ১০টা ২৫ মিনিটে।