বর্তমান বাস্তবতায় অর্থপূর্ণ সংলাপের যথেষ্ট সময় হাতে নেই: ডোনাল্ড লু'কে কাদের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানিয়ে যে চিঠি দিয়েছিল, তার জবাব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। জবাবে দলটি বলেছে, বিএনপি সংলাপের পূর্বশর্ত হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের ওপর অনড় থাকায় সংলাপ হয়নি। আর বর্তমান বাস্তবতায় অর্থপূর্ণ সংলাপের যথেষ্ট সময় হাতে নেই।
আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের অ্যাক্টিং ডেপুটি চিফ অব মিশন আর্টুরো হাইন্সের কাছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে চিঠি হস্তান্তর করেন দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
এর আগে, নিঃশর্ত সংলাপের আহ্বান জানিয়ে ডোনাল্ড লু আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দেন। আওয়ামী লীগ সেই চিঠির জবাব দিলো।
চিঠিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। আওয়ামী লীগ কয়েক মাস ধরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিঃশর্ত সংলাপের জন্য দরজা খোলা রেখেছিল। বিএনপি এই জাতীয় সংলাপের পূর্বশর্ত হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগের উপর অনড় থাকায় সংলাপ হয়নি।
তাতে আরও বলা হয়, বর্তমানে বিএনপি ও জামায়াতসহ তাদের মিত্ররা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অবরোধ করছে। এই ধরনের কর্মসূচি কার্যকর করতে অগ্নিসংযোগের মতো জোরপূর্বক রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মতে, ২৮ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১৫৪টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে অবরোধ সমর্থকরা। চলমান অবরোধ এবং এ ধরনের কর্মসূচির প্রধান দাবির মধ্যেও বিএনপি ও অন্যদের সঙ্গে যদি আওয়ামী লীগ বসতে পারে, তবুও কোনো অর্থবহ সংলাপ হবে না।
আগামী সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নির্বাচনী কাজ চূড়ান্ত করতে সমস্ত সময় ব্যয় করতে হবে। ৩০০টি আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পর্যালোচনা এবং চূড়ান্ত করা, তাদের ইশতেহার তৈরি করা, প্রচারণার কৌশল চূড়ান্ত করা, ভোটারদের কাছে প্রচারণা কাজ রয়েছে। যদি সব শর্ত একটি সংলাপের জন্য অনুকূল হয়, তবে বর্তমান বাস্তবতায় অর্থপূর্ণ সংলাপ করার জন্য যথেষ্ট সময় হাতে নেই।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন স্বাধীন বলেও তাতে উল্লেখ করা হয়। আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগ সকল আন্তর্জাতিক বন্ধুদের সঙ্গে অংশীদারিকে গুরুত্ব দেয় এবং আশা করে যে তারা একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের সামনে উপস্থাপনের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে।