নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি হচ্ছেন শেখ হাসিনা, সদস্য সচিব কাদের
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে গঠিত আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে থাকছেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর সদস্য সচিব হিসেবে থাকছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে অগ্নিসংযোগ বা নাশকাতার জবাবে আমাদের নেতাকর্মীরা সারা দেশে আরও সক্রিয়ভাবে জনগণের জানমালের রক্ষায় পাহারা দিতে হবে এবং নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার পায়তারার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪টির মতো উপকমিটি হয়েছে নির্বাচন উপলক্ষে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর পরই কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হবে। ফরম ৫০ হাজার টাকা। অনলাইনেও বিক্রি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নেত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত বা সমমনা অন্যান্যদের নিয়ে শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য দেওয়া উচিত নয়।
উল্লেখ্য, এর আগে আজ সকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে ৪ নির্বাচন কমিশনার। সাক্ষাৎ শেষে সিইসি গণমাধ্যমকে বলেছেন, রাষ্ট্রপতিকে আমরা ভোটের প্রস্তুতির বিষয়ে অবহিত করেছি। নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে হবে, যার জন্য দ্রুতই আমাদের তপশিল ঘোষণা করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে সিইসি বলেছেন, একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন নির্বাহী বিভাগসহ জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা। রাজনৈতিক দলগুলোকে এ লক্ষ্যে এগিয়ে আসতে হবে।
সিইসি বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, সংবিধান বাধ্যবাধকতায় ২৯ জানুয়ারির আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে এবং এর জন্য নির্বাচন কমিশন সম্পন্ন প্রস্তুত। রাষ্ট্রপতিকে সার্বিক বিষয়ে জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছে। নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সিইসি বলেন, রাষ্ট্রপতি বলেছেন- নির্বাচন হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের মতামত প্রতিফলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন এবং প্রতিনিধির মাধ্যমেই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়ে থাকে।
সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে চলে। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হলে দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে।
রাষ্ট্রপতি আশা করেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা দেবে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সাংবিধানিক রীতিনীতি ও বিধিবিধান অনুসরণপূর্বক কমিশনকে সাহসিকতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
সাক্ষাতের সময় নির্বাচন কমিশনার এবং রাষ্ট্রপতির সচিবরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।