নাহিদের ‘সেফ এক্সিট’ বক্তব্য নিয়ে তোলপাড়
-1090926.jpg?v=1.1)
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া মন্তব্য করেছেন, যাদের একাধিক দেশের পাসপোর্ট ও নাগরিকত্ব রয়েছে, তারাই এখন অন্যদের জন্য ‘সেফ এক্সিট’ তালিকা তৈরি করছেন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেন: “যাদের একাধিক দেশের পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব নেওয়া, তারাই আবার অন্যদের সেফ এক্সিটের তালিকা করে। যারা ৫ আগস্ট পালিয়েছিল, তাদের সিমপ্যাথাইজাররা কষ্টে মরে যাচ্ছে। বারবার ফ্যাসিস্টদেরই পালাতে হবে। আমাদের জন্ম এদেশে, মৃত্যুও এদেশের মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ। ফ্যাসিস্ট, খুনিদের সাথে লড়তে লড়তে আমার ভাইদের মতো শহীদী মৃত্যু কামনা করি।”
একই দিনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন:“এনসিপি'র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে পরিষ্কারভাবে জানাতে হবে, কারা ‘সেফ এক্সিট’ নিতে চান।”
তিনি আরও বলেন, সরকার একটি স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি উল্লেখ করেন, কোন দল নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, তা আইনি প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের ‘সেফ এক্সিট’ (নিরাপদ প্রস্থান) খোঁজার বিতর্ক নিয়ে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।
একটি টক শোতে উপস্থিত হয়ে তিনি দাবি করেন যে উপদেষ্টাদের একটি বড় অংশের জন্য নিরাপদ প্রস্থান খুব কঠিন হবে না।
রুমিন ফারহানা বলেন, উপদেষ্টারা অনেকেই সেফ এক্সিট খুঁজছেন। আমার মনে হয়, সেফ এক্সিট খুঁজতে উপদেষ্টাদের খুব কষ্ট করতে হবে না, কারণ ম্যাক্সিমাম উপদেষ্টা ডুয়েল সিটিজেনশিপ নিয়ে চলছেন। সুতরাং তাদের একটা বড় অংশই দেশের বাইরে অটোমেটিক্যালি চলে যেতে পারবেন।
তিনি দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সতর্ক করেন, এটা সহজেই অনুমেয় যে যদি পলিটিক্যাল পার্টিগুলো আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে একটা নির্বাচন আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে বাংলাদেশ একটা গভীর অনিশ্চয়তায় পড়বে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেত্রী আরও দাবি করেন, এই ব্যর্থতার সুযোগে আওয়ামী লীগ কোনো প্রকার অনুশোচনা না করেই রাজনীতিতে ফেরার চিন্তা করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মিছিল বড় হচ্ছে, ঘন ঘন হচ্ছে, ঢাকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে হতে দেখছি আমরা। সুতরাং ঘরের পাশে আওয়ামী লীগ যে হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে তেমনটি নয়।
তিনি উল্লেখ করেন, সরকারের ক্রমাগত ব্যর্থতাই আওয়ামী লীগকে দুঃখ প্রকাশ না করে আবারও রাজনীতিতে আসার কথা চিন্তা করতে উৎসাহিত করছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন “অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করেছেন। তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের চিন্তা করছেন। কেউ কেউ নিজেদের আখের গুছিয়েছেন, আবার কেউ গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।”
তিনি আরও জানান, সময় হলে এদের নাম উন্মুক্ত করা হবে। এ প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, উপদেষ্টাদের অনেককে বিশ্বাস করাটা ছিল ভুল সিদ্ধান্ত, এবং ভবিষ্যতে ছাত্র নেতৃত্বকে শক্তিশালী করাই হবে মূল লক্ষ্য।