প্রস্তুতি সভায় দাওয়াত না দেওয়ায় বিএনপির দু'গ্রুপের সংঘর্ষ
-1271113.jpg?v=1.1)
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় দাওয়াত না পাওয়াকে কেন্দ্র করে দলটির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (২৭ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত একটি অডিটোরিয়ামের ভেতরে এই হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। আগামী ৫ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি উদযাপনকে ঘিরে এ সভার আয়োজন করা হয়েছিল।
জানা যায়, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জহির সাজ্জাদ হান্নান ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান মিন্টুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে গৌরনদী থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরুতর আহত পৌর ছাত্রদলের নেতা রমজান ডাক্তারকে (২০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগামী ৫ আগস্ট দলীয় কর্মসূচি উদযাপনের উদ্দেশে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অডিটোরিয়ামে উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভা শুরু হয়। সভায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান মিন্টু দাওয়াত না পেয়ে মোবাইলে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরোয়ার আলম বিপ্লবকে ফোন দেন। বিপ্লবের অনুরোধে মিন্টু তার ৩০ থেকে ৪০ সমর্থককে নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে চলমান প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত হন এবং দাওয়াত না পাওয়ার জন্য সদস্য সচিব শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নানকে দায়ী করেন।
এ সময় হান্নান শরীফ ও মিন্টুর মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে মিন্টু সদস্য সচিব হান্নান শরীফকে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে মিন্টু সমর্থকরা হামলা চালিয়ে উপজেলা যুবদলের নেতা জসিম শরীফকে মারধর করে জামা ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় অডিটোরিয়ামের ভেতরে মিন্টুর সমর্থকরা সভাস্থলে ছুড়ে মারার ফলে ৫টি চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর মিন্টুর সমর্থকরা রামদা, জিআই পাইপ, হাতুড়ি, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে হান্নান সমর্থকদের ওপর হামলা চালালে হান্নান সমর্থকরাও পালটা হামলা চালায়।
এতে উভয়পক্ষের সমর্থকরা গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ধাওয়া-পালটা ধাওয়া দেয়। এ সময় যুবদল নেতা জসিম শরীফ, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রমজান ডাক্তারসহ উভয়পক্ষের ৫ নেতাকর্মী আহত হন।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান বলেন, আহত রমজান ছাত্রলীগের কর্মী। বড় দলের মধ্যে নেতাকর্মীদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। সভার পরিবেশ নষ্ট হওয়া দুঃখজনক ঘটনা।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান মিন্টু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতিতে আছি। এ সময়ে আমি বহুবার হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় আমাকে দাওয়াত দেওয়া হয় নাই। আমি শুধু কারণ জানতে গিয়েছিলাম। সেখানে কোনো ধাক্কাধাক্কি বা বিশৃঙ্খলার সঙ্গে আমি ও আমার সমর্থকদের কোনো সম্পৃক্ততা নাই।
গৌরনদী থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।