শপথ না নিয়েও মেয়র হিসেবে ইশরাকের সভা; সমালোচনার ঝড়
-1170907.jpg?v=1.1)
শপথ না নিয়েও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মীদের সঙ্গে মেয়র হিসেবে সভা করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। সভার ব্যানারেও তাকে ‘মেয়র’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সেখানে তিনি ডেঙ্গু মোকাবেলায় কর্মকর্তাদের নানা নির্দেশনাও দেন।
সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক দাবি করেন, তাকে শপথ নিতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তটি রাজনৈতিকভাবে নিয়েছে বর্তমান সরকার। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে সমালোচনা।
এর আগে, ৩ জুন দক্ষিণ সিটির নগর ভবনের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ইশরাক ঘোষণা দেন—সরকার যদি শপথের সুযোগ না দেয়, তবে তিনি নিজেই শপথ নিয়ে মেয়রের দায়িত্ব পালন করবেন।
সেই কথারই যেনো প্রতিফলন হলো সোমবার। সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার ব্যানারে তাঁর পরিচয় লেখা হয় মেয়র হিসেবে। সেখানে কর্মীদের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথার পাশাপাশি, ডেঙ্গু মোকাবিলায় নির্দেশনাও দেন ইশরাক।
বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলন করেন ইশরাক। তিনি বলেন, নগর ভবনে প্রশাসক বসানো অবৈধ।
ইশরাক হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি যখন নিষ্পত্তি করে গ্যাজেট প্রকাশ করে বহাল রাখা হয়েছে সেই মুহূর্ত থেকে সেই প্রশাসক অবৈধ হয়ে গিয়েছে। এখানে প্যারালাল প্রশাসন তারা চালাচ্ছিল। আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি, আদালতের মাধ্যমে আমার বর্তমান অবস্থান প্রতিষ্ঠা করেছে।’
ইশরাক হোসেনের দাবি, রাজনৈতিক কারণে শপথ পড়ানো হচ্ছে না তাকে।
দ্রুততর সময়ের মধ্যে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন করে। অন্যথায় আমরা এ কার্যক্রম চালিয়ে যাব।’
এদিকে জোর করে নগর ভবনে সভা করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। অনেকেই বলছেন জোর করে নগর ভবন দখল করে এভাবে সভা করা আওয়ামী ফ্যাসীবাদীর আমলেও হয়নি। এগুলো কখনই কাম্য নয়।
প্রসঙ্গত, গেল ২৭ মার্চ আওয়ামী লীগ আমলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের ফল বাতিল করে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে ইসি। তাকে শপথ না পড়ানোর জন্য ১৪ মে রিট করে সরকার। এমন বাস্তবতায়, ১৫ মে থেকে আন্দোলনে নামেন ইশরাক সমর্থকরা।