কারাগারে আইভী

নারায়ণগঞ্জের সাবেক সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সিদ্ধিরগঞ্জের মিনারুল হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার (০৯ মে) সকালে জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১ম আদালত) মো. মঈনউদ্দিন কাদির এই আদেশ দেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আইভীর বাড়ির সামনে যায় পুলিশ। খবর পেয়ে বাড়ির বাইরে অবস্থান নেয় এলাকাবাসী। পরে সড়ক অবরোধ সৃষ্টি করে এলাকাবাসী বাড়ির চারপাশে ঘিরে রাখে। প্রায় ৬ ঘণ্টা চেষ্টার পর আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে নগরীর দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত চুনকা কুটির থেকে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আইভীকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে বহনকারী পুলিশ ভ্যানে হামলা হয়। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিবি রোডের কালির বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় র্যাব ও পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পটকা বিস্ফোরণ হয়।
পুলিশের ভ্যানে ওঠার আগে আইভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি জানি না আমাকে কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? আমার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে জানিয়েছে প্রশাসন, কিন্তু আমাকে দেখাতে পারেনি। আমি ২১ বছর সকল কিছুর উর্ধ্বে থেকে নারায়ণগঞ্জবাসীকে সেবা দিয়েছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমি সেই অপরাধে অপরাধী হতে চাই।’
আইভী বলেন, ‘আমি কি কোনো জুলুমবাজ? আমি কি হত্যা করেছি? আমি কি চাঁদাবাজি করেছি? নারায়ণগঞ্জ শহরে আমি কোনো দিন কোনো বিরোধী দলকে আঘাত করেছি—এমন রেকর্ড আছে? তাহলে কিসের জন্য, কোন ষড়যন্ত্রের কারণে, কার স্বার্থে আমাকে গ্রেপ্তার করা হলো? আমিও প্রশাসনের কাছে জানতে চাই। বর্তমান যারা সরকারে আছেন, তারা সাম্যের কথা বলেছেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আপনারা আন্দোলন করেছেন, সরকারকে হটিয়ে নতুন সরকারে এসেছেন—তাহলে কী এই বৈষম্য? তাহলে সৎ রাজনীতি, সততার কী মূল্যায়ন? আমি তো বাড়িতেই ছিলাম, পালাইনি। তাহলে এভাবে আমাকে গ্রেপ্তার করতে হলো কেন? সেই জবাব জনগণের কাছে চাই, জনগণই দিবে। ইনশাল্লাহ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী বলেন, আইভীর বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।