ফুলের নাম রাঘরাঙা
গাছটি দেখতে খুব সুন্দর! পাতা দেখে মনে হবে, গাছটি বোধ হয় পেয়ারাগাছের কোনো একটি প্রজাতি । আবার ফল দেখে মনে হতে পারে, এটা কাঁঠালচাঁপার কোনো জাত। ফুল দেখতে পাপড়িগুলো খানিকটা আতা ফুলের মতো। এ ফুলটির নাম রাঘরাঙা। অন্য নাম বাঘরং বা ঘাগরঙ্গ।
বাঘরাঙা গাছের ফুল বড়, ফোটার পর পাপড়ির বিস্তার হয় ১০-১২ সেন্টিমিটার, পাপড়ি ৫টি, ফুলের মাঝখানে একটি উত্তল চাকতির মতো হলদে বাদামি রঙের অঙ্গ থেকে পাপড়িগুলো চারদিকে তারার মতো ছড়িয়ে পড়ে।
পাতার বোঁটার কোলে এককভাবে ফুল ফোটে। পাপড়িগুলোর গোড়ার দিকে চওড়া ও মাথার দিকে সরু, অন্য তিনটি প্রজাতির ফুলের তুলনায় এর ফুলের পাপড়ি সরু। আঙুলের মতো লম্বা ও অ গ্রভাগ ভোঁতা অনেকগুলো ফল ধরে থোকায়।
ফলের ভেতরে কয়েকটি বাদামি রঙের বীজ থাকে। বীজ থেকে গাছ হয়। গবেষকেরা এই গাছের রসে ক্যানসাররোধী রাসায়নিক উপাদানের খোঁজ পেয়েছেন। এ গাছের পাতা বেদনানাশক ও ফোলা কমায়। শিকড় বমি বন্ধ করে ও বাতরোগের চিকিৎসায় কাজে লাগে।
এ প্রজাতির গাছের আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায়। গাছ আমাদের বাংলাদেশে দেশে খুব কমই দেখা যায় দেখা যায়।