নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন
কোনো রাজনৈতিক দল বিদেশি শাখা খুলতে পারবে না

কোনো রাজনৈতিক দল বিদেশি শাখা খুলতে পারবে না বলে সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। গতকাল শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এই কমিশন তার প্রতিবেদন জমা দেয়। সেখানে উক্ত সুপারিশসহ আরও কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশগুলো হলো:
১. নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের শর্ত শিথিল করে, ১০% জেলা এবং ৫% উপজেলা/থানায় দলের অফিস ও ন্যূনতম ৫ হাজার সদস্য থাকা বাধ্যতামূলক করা।
২. দলের সব সদস্যের তালিকা প্রস্তুত করে, তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
৩. আরপিও ১২ ধারার অধীনে সংসদ সদস্য পদের জন্য অযোগ্য ব্যক্তিরা কোন দলের সাধারণ সদস্য বা কমিটির সদস্য হতে পারবেন না।
৪. আইসিটি আইনে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরও একই নিষেধাজ্ঞা।
৫. আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর ৯(১) ধারায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আদালতে অভিযোগপত্র গৃহীত হলে তাদের দলীয় সদস্য পদ অযোগ্য হবে।
৬. দলের সকল কমিটি স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত গোপন ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে।
৭. সংসদ নির্বাচনে দলের সদস্যদের গোপন ভোটে তিনজনের একটি প্যানেল তৈরি করে, তা থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে।
৮. দলের সদস্যদের চাঁদা ন্যূনতম ১০০ টাকা এবং অনুদান হিসেবে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা গ্রহণের বিধান রাখা হবে, যা ব্যাংকিং চ্যানেলে করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ট্যাক্স রিটার্নে দেখাতে হবে।
৯. দলের তহবিল ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বছরে একটি অডিট করা আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনে দাখিল করতে হবে।
১০. নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯-এর আওতাভুক্ত করা।
১১. দলের ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক সংগঠন বা যেকোনো লেজুড়বৃত্তিক সংগঠন না থাকা বাধ্যতামূলক করা।
১২. দলের, যেকোনো নামে হোক, বিদেশি শাখা না থাকার বিধান করা।
১৩. দলের সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দলের তিন বছরের সদস্য পদ থাকা বাধ্যতামূলক করা।
১৪. প্রতি ৫ বছর পর পর দল নিবন্ধন নবায়ন বাধ্যতামূলক করা।
১৫. পরপর দুটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন বাতিলের বিধান বাতিল করা।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।