দুদককে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান করার প্রস্তাব সংস্কার কমিশনের
দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
আজ বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। এরপর কমিশনের প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করা যেতে পারে, যাতে তারা নিজেদের বিধিবিধান প্রণয়ন করতে পারে। প্রত্যেক স্তরের কর্মকর্তা নিয়োগে দুর্নীতি দমন কমিশনকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
বাংলাদেশ তথ্য কমিশনকে শক্তিশালী করতেও সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ তথ্য কমিশনকে অধিকতর কার্যকর একটি সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এর চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া একটি বাছাই কমিটির মাধ্যমে করা যেতে পারে। তথ্য কমিশনের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে কর্মরত একজন বিচারকের নেতৃত্বে একজন করে তথ্য অধিকার সম্পর্কে অভিজ্ঞ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি বাছাই কমিটি তথ্য কমিশনের প্রধান ও সদস্য নিয়োগের সুপারিশ করবে।
কমিশন চেয়ারম্যান ও সদস্যরা এক মেয়াদের বেশি এ পদে থাকতে পারবেন না। কমিশনের শাখা অফিস প্রশাসনিক বিভাগ পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা যেতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, নাগরিকরা চাহিদামতো সহজেই তথ্য না পেলে যেন বিভাগীয় তথ্য কমিশনার বরাবর আপিল করতে পারে সে বিধান করার জন্য সুপারিশ করা হলো। বিভাগীয় তথ্য কমিশনার আপিলের ওপর দ্রুত সিদ্ধান্ত দেবেন। এ ছাড়া তিনি জেলা ও উপজেলা সফর করে তথ্য কমিশন ও সংশ্লিষ্ট আইন সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন করবেন।
এর আগে বুধবার দুপুর ১টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেদনগুলো হস্তান্তর করেন।