আজ যমুনা রেলসেতুর ওপর দিয়ে পূর্ণ গতিতে চলবে ট্রেন
উত্তরাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে সেতুর ওপর দিয়ে পূর্ণ গতিতে ট্রেন চলবে আজ।
আজ রবিবার (৫ জানুয়ারি) এবং পরেরদিন সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে, পরীক্ষামূলকভাবে দুটি ট্রেন সেতুর পূর্বপাড় থেকে পশ্চিমপাড় এবং পশ্চিমপাড় থেকে পূর্বপাড়ে চলাচল করবে।
গতকাল (শনিবার) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যমুনা নদীর ওপর নির্মিত রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান। তিনি জানান, এর আগে ২৬ নভেম্বর সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতিসীমায় ট্রেন চালানো হয়েছিল। রবিবার পূর্ণ গতিতে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হবে। মূলত রোববার ও সোমবার এই দুটি দিন সেতুতে ট্রেন চালিয়ে দেখবেন, সেতু পূর্ণ গতিতে ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত কিনা এবং কোথাও কোনো সমস্যা আছে কিনা। যদি কোনো সমস্যা না দেখা যায়, তাহলে সবকিছু ঠিক থাকবে। তবে যদি সমস্যা ধরা পড়ে, সেটি ঠিক করা হবে।
আল ফাত্তাহ আরও বলেন, এই সময়ে সেতুর পূর্ব পাড় থেকে একটি এবং পশ্চিম পাড় থেকে আরেকটি ট্রেন অপর প্রান্তে যাতায়াত করবে। অর্থাৎ, দুটি লাইনে দুটি আলাদা ট্রেন চলবে। রোববার তারা উপস্থিত থেকে পরীক্ষা করবেন এবং পরের দিন (সোমবার) রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের উচ্চতর কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন।
সেতু উদ্বোধনের ব্যাপারে তিনি বলেন, পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল সফল হলে সকল কাগজপত্র জমা দিয়ে কর্তৃপক্ষ উদ্বোধনের সময় নির্ধারণ করবেন। এটি আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি অথবা শেষের দিকে হতে পারে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ৯,৭৩৪.৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে তা ১৬,৭৮০.৯৬ কোটি টাকা হয়েছে, যার ১২,১৪৯.২ কোটি টাকা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ হিসেবে দিয়েছে। এই প্রকল্পের মূল নির্ধারিত সময় ছিল জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩, কিন্তু সংশোধনে এটি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থানান্তরিত হয়েছে।
২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন দেয় এবং ২৬ নভেম্বর সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতিসীমায় রেলওয়ে সেতু দিয়ে প্রথম ট্রেন চালানো হয়।