বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা জটিলতা দ্রুত সুরাহার আশ্বাস আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৪ AM

তৈরি পোশাকের পর বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় একটি খাত হলো প্রবাসী আয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা প্রতিমাসে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন। এই প্রবাসী আয়ের সিংহভাগ আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। এর মধ্যে অন্যতম হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে ভিসা জটিলতার কারণে দেশটিতে যেতে অনেক বেগ পেতে হয় নাগরিকদের। তবে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত সুরাহার আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামুদি। পররাষ্ট্র সচিব শ্রমশক্তির মসৃণ গতিশীলতা নিশ্চিত করতে আমিরাতের রাষ্ট্রদূতকে মুলতবি থাকা কর্মসংস্থান ভিসার আবেদনসহ ভিসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানালে, জবাবে রাষ্ট্রদূত ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত সুরাহার এ আশ্বাস দেন।

সোমবার (২১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আশ্বাস দেন রাষ্ট্রদূত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, ভিসা পদ্ধতি সহজীকরণ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দুই দেশের মধ্যে সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্পসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে কাজ করার ওপর দৃষ্টি নিবন্ধ করা হয়।

এতে বলা হয়, রাষ্ট্রদূত সংযুক্ত আরব আমিরাতের আতিথেয়তা, অর্থ, ব্যাংকিং এবং স্বাস্থ্য খাতে কর্মরত বৃহৎ প্রবাসী বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি স্বীকার করেন।

বৈঠকে দুদেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক উন্নয়নের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়। রাষ্ট্রদূত আমিরাতের বিশিষ্ট সংস্থা যেমন লজিস্টিক লিডার ডিপি ওয়ার্ল্ড, নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি মাসদার ও এয়ার সার্ভিস প্রোভাইডার দনাতার বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশ ও আল-নাহিয়ান ট্রাস্টের জনকল্যাণমূলক উদ্যোগের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্র সচিব সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য রেমিট্যান্সের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা স্বীকার করেন।

পররাষ্ট্র সচিব, সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বাংলাদেশে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করায় সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের সাধারণ ক্ষমার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার ও রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বিভিন্ন সেক্টরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত উল্লেখযোগ্য সংস্কারগুলোও তুলে ধরেন।

এছাড়া উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক বিনিময়ের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করে।

পররাষ্ট্র সচিব জোর দিয়ে বলেন, দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব সময় ও পরিস্থিতির পরিবর্তন নির্বিশেষে অবিচল, গভীর ও অটুট রয়েছে।
সূত্র: বাসস