জ্বালানি উপদেষ্টা জানালেন
২০২৫ সালের মধ্যে দেশে ৩৫ কূপ খননের পরিকল্পনা-
চলমান জ্বালানি সংকট নিরসনে গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে স্থলভাবে আরও ৩৫টি কূপ খনন করা হবে। এ ছাড়া গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ৭টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব মো. নূরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার প্রমুখ।
ফাওজুল কবির বলেন, জ্বালানি সংকটের কারণ হলো গ্যাসের রিজার্ভ (মজুদ) কমে আসছে। সে কারণেই ব্যয়বহুল এলএনজি আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার করার। গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানে ৭টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সাগর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গ্যাস অনুসন্ধানের পরিকল্পনা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৫০টি পরিকল্পনায় ছিল। এরমধ্যে ১৫টি খনন করে ১৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট প্রতিদিন উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মিলেছে। তবে পাইপলাইন না থাকায় এখন ৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট দেওয়া হয়েছে জাতীয় গ্রিডে।
তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ১১টি গ্যাস কূপ খনন করবে বাপেক্স, বাকি ২৪টি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কাজ দেওয়া হবে। এখন জিটুজিও করা হবে না, সবার জন্য উন্মুক্ত।
ফাওজুল কবির বলেন, আর ২০২৮ সালের মধ্যে আরও ১০০টি কূপ খনন করা হবে। স্থলভাগের ৬৯টি কূপে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো হবে। ৩৩টি কূপে অনুসন্ধান করবে বাপেক্স। আরও ১০টি রিগ ভাড়া করে করবে। বাকি ২৬টি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে করা হবে। এর ফলে গ্যাস সংকট অনেকটাই কাটবে। এখন কোনো প্রকল্পের সময় ও ব্যায় আর বাড়ানো হবে না। আগামী সপ্তাহে টেন্ডার হবে বলেও জানান তিনি।