গাজার স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় বাংলাদেশের নিন্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২৪, ০১:৪৩ PM

গত ১১ মাসের অধিক সময় ধরে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় নৃশংস ও বর্বর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জা, অ্যাম্বুলেন্স এমনকি স্কুলও। সর্বশেষ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী কর্তৃক গাজার একটি স্কুলে অমানবিক হামলা চালিয়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশও।

আজ সোমবার (১২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ১০ আগস্ট পূর্ব গাজার আল-তাবিন স্কুলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী কর্তৃক জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানায় বাংলাদেশ। ওই ঘটনায় শতাধিক বেসামরিক লোকের প্রাণহানি এবং অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে। গাজায় আগ্রাসন ও সহিংসতা বন্ধের লক্ষ্যে শান্তি প্রক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক উদ্যোগের প্রতি ইসরায়েলের অবহেলা প্রদর্শন করে এই হামলাকে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন ও মৌলিক মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন বলে মনে করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে এবং ফিলিস্তিনে মানবিক সহায়তার নিরবচ্ছিন্ন প্রবাহ নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য বিশ্ব সংস্থার কাছ থেকে একটি নিষ্পত্তিমূলক প্রতিক্রিয়ার আহ্বান জানাই।

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এবং ফিলিস্তিনের একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত, পূর্ব জেরুজালেমের রাজধানী এবং ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত তাদের অধিকারের পক্ষে সমর্থন দিয়ে যাবে। 

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের  অধিকৃত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া আহত হয়েছে ৯১ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি।

ইসরায়েলি  বর্বর হামলায় গাজার ৮০ শতাংশ স্কুলই এখন ধ্বংসস্তুপ। দখলদার দেশটির বর্বর হামলায় সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে নারী ও শিশুরা। প্রায় ১৭ হাজারের অধিক শিশু নিহত হয়েছে গত এগারো মাসে।