৮ জুলাই ৪ দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
সম্প্রতি ভারত সফর করে দেশটির সঙ্গে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৮ জুলাই বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন সরকারপ্রধান।
আজ মঙ্গলবার (০২ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
মাসুদ বিন মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক সইসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ঘোষনা আসতে পারে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এবারের চীন সফরের বিনিয়োগ, আঞ্চলিক সহযোগিতা, রোহিঙ্গাসহ নানা ইস্যুতে আলোচনা হবে। তবে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কোন কথা হবে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়।’
‘ভারত-চীন দুই দেশই গুরুত্বপূর্ণ, বাংলাদেশ কারও দিকেই ঝুঁকে নেই’‘ভারত-চীন দুই দেশই গুরুত্বপূর্ণ, বাংলাদেশ কারও দিকেই ঝুঁকে নেই’
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের বিষয়টি গত ২৮ জুন নিশ্চিত করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সেদিন ঢাকা সফররত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানশাওয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সে সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করবে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে ভারতের সঙ্গে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারকে সই হয়েছে। এর মধ্যে গঙ্গা ও তিস্তার পানি বণ্টনও রয়েছে। যদিও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পানিবণ্টন চুক্তির বিরোধীতা করেছেন।
দিল্লি সফর নিয়ে গত ২৫ জুন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জন্য ভারত-চীন দুই দেশই গুরুত্বপূর্ণ, বাংলাদেশ কারও দিকেই ঝুঁকে নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীন-ভারত দুটো দেশই প্রস্তাব দিয়েছে। যেটি বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হবে, সেটিই করা হবে। ভারতের সঙ্গে তো আমাদের তিস্তার বিষয় আছেই। যদি তারা এ প্রকল্প করে দেয় তাহলে তো সব সমাধান হয়েই যায়।
গঙ্গা চুক্তি নবায়ন না হলেও অব্যাহত থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তিস্তার বিষয়ে একটি ট্যাকটিক্যাল টিম আসবে। মমতা ব্যানার্জি নরেন্দ্র মোদিকে কি চিঠি লিখেছেন, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তিস্তা এখনকার ইস্যু না। যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের সময় থেকেই আলোচিত।