ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের মুক্তি নিয়ে সংশয়
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ জন নাবিককে জিম্মি করা হয়। এর পর থেকেই জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। তবে ঈদের আগে মুক্ত করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
ঈদের আগে জিম্মিদের উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বলে কোনো কোনো গণমাধ্যমে খবর বের হলেও তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন জাহাজটির মালিক কবির গ্রুপের (কেএসআরএম) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুর ইসলাম জানান, ঈদের আগে জিম্মিদের মুক্ত করতে জোর প্রচেষ্টা চলছে। দস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে তাদের প্রতিদিনই কথা হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'আলোচনার অগ্রগতি হচ্ছে। তবে ঈদের আগে মুক্ত হবে কি না তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। পূর্ব অভিজ্ঞাতায় আমরা বলতে পারি- ঈদের আগে জিম্মিরা মুক্তি পেলেও তারা ঈদের আগে দেশে ফিরতে পারবেন না।'
কারণ হিসেবে কেএসআরএমের এই কর্মকর্তা বলেন, 'দেশে ফিরিয়ে আনার বেশ কিছু কাজ রয়েছে। সে কাজ সম্পন্ন করে দেশে ফিরতে তাদের ২৫-৩০ দিন সময় লাগবে। তবে প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ঈদের আগে নাবিকদের মুক্ত করা কঠিন।'
এদিকে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে জিম্মি থাকা জাহাজটিতে মজুদ খাবার পানি ফুরিয়ে আসছে বলে জানা গেছে। জিম্মি হওয়ার আগে ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি মজুদ ছিল জাহাজে। এখন নাবিকদের রেশনিং করে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
মালিকপক্ষ থেকে জানা গেছে, এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে নাবিকদের জন্য প্রায় ২৫ দিনের হিমায়িত খাবার মজুদ ছিল। তবে শুকনা খাবার অনেক দিনের জন্য মজুদ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাইয়ে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে জলদস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।