ঝগড়া নয়, মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০২৪, ১১:০৪ AM

গত কয়েক যুগ ধরেই মিয়ানমারে চলছে জাতিগত সহিংসতা। এরই জেরে ২০১৭ সালে দেশটির রাখাইন সীমান্ত থেকে গণহত্যার কবলে পড়া প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর পর থেকেই কক্সবাজারের ভাসানচরসহ বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করে আসছে বস্তুহারা এই জনগোষ্ঠী। এই প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঝগড়া নয়, মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটসহ সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।

আজ সোমবার (৪ মার্চ) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবসের কুচকাওয়াজে পিলখানায় উপস্থিত হয়ে দেওয়া প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় শৃঙ্খলার ব্যাঘাত না ঘটিয়ে চেইন অব কমান্ড মেনে বিজিবির সদস্যদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান সরকার প্রধান।

সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালানরোধ, মাদক ও নারী-শিশু পাচাররোধসহ আন্তসীমান্ত অপরাধ দমন এবং সীমান্তবর্তী জনসাধারণের জনমালের নিরাপত্তায় বিজিবির পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন সরকার প্রধান।

এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টার কিছু সময় পর পিলখানায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। প্রধান অতিথিকে বরণ করেন বিজিবি মহাপরিচালক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। খোলা জিপে বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহী দলের মনোমুগ্ধকর প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। 

বিজিবি জানিয়েছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস-২০২৩ এর আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিজিবি সদরদপ্তরের বীরউত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন এবং আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করছেন।

একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বিজিবিতে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজিবি সদস্যদের পদক পরিয়ে দেন এবং ভাষণ দেন। এ বছর বিজিবি ৭২ জনকে পদক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 

২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডির পর বাহিনীটির পুনর্গঠন করা হয়। ২০১০ সালে জাতীয় সংসদে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন, ২০১০’ পাস হয়। পরে ২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিবির নতুন পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন ও মনোগ্রাম উন্মোচনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ বাহিনীর নতুন পথচলা।