ছুটির দিনে ক্রেতা-দর্শনার্থীতে জমে উঠেছে বইমেলা
অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাঙালি কৃষ্টি ও সংস্কৃতির এবং জাতিসত্তার পরিচয় বহন করে। বইমেলার মতো এত বড় সাংস্কৃতিক উৎসব আর নেই। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে অমর একুশে বইমেলা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়া বিপুল ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে জমে উঠেছে বাঙালির এই প্রাণের মেলা।
আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় মেলার প্রবেশদ্বার সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বইমেলায় ছুটির দিন মানেই শিশু-কিশোরদের জন্য থাকে শিশুপ্রহর। এদিন বেলা ১১টায় শুরু হয় শিশুপ্রহর। চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। শিশুপ্রহরে সিসিমপুরের ইকরি, হালুম, টুকটুকি আর সিকুর সঙ্গে নেচে-গেয়ে ব্যাস্ত সময় পার করে তারা। পাশাপাশি স্টলে ঘুরে ঘুরে পছন্দের বই সংগ্রহ করে ক্ষুদে পাঠকরা। শিশুদের ট্রাফিক সচেতনতা বাড়াতে ডিএমপি ও জাইকার আয়োজনে শিশুদেরকে বিভিন্ন ট্রাফিক সিগন্যালসহ সড়কে চলাচলের নিয়মকানুন শেখানো হয়।
অভিভাবকরা বলেন, শিশুদের জন্য সুন্দর আয়োজন শিশুপ্রহর। উপভোগের পাশাপাশি অন্য শিশুদের সঙ্গেও খেলাধুলার সুযোগ পাওয়া যায় এ সময়।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। এদিন বইমেলার শেষ শুক্রবার হওয়ায় বিকেলের দিকে মেলায় বইপ্রেমীদের চাপ একটু বেশিই লক্ষ্য করা গেছে। বইমেলার প্রতিটি স্টলেই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কেউ বই উল্টে-পাল্টে দেখছেন, কেউ পছন্দের লেখকের সঙ্গে ছবি তুলছেন, অটোগ্রাফ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বিভিন্ন স্টলের বিক্রেতারা বলেন, বইমেলার আজ শেষ শুক্রবার হওয়ায় অন্য যেকোনো শুক্রবার থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি। তাই বিক্রিও ভালো হচ্ছে। সন্ধ্যায় মেলায় বইপ্রেমীদের উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।