আসামে চালু হচ্ছে বাংলাদেশি ভিসা কেন্দ্র
চলছে ভাষার মাস। ১৯৫২ সালের এই মাসে ভাষার জন্য প্রাণ দেন রফিক, সালাম, বরকতসহ আরও অনেকেই। এর জেরেই জাতিসংঘ ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তবে এই মাসে না হলেও ভারতে আসামেও বাংলা ভাষার জন্য কয়েকজন জীবন দিয়েছিলেন। এবার ফেব্রুয়ারি মাসেই ভারতের আসাম রাজ্যে চালু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ভিসা প্রসেসিং সেন্টার। আসামের বরাক উপত্যকার তিনটি জেলার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবিকে গুরুত্ব দিয়েই শিলচরে এই বাংলাদেশ ভিসা কেন্দ্র চালু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনার রুহুল আমিন।
শিলচরে অনুষ্ঠিত ভাষা সংস্কৃতিক মিলন উৎসবে যোগ দেওয়ার ফাঁকে বিষয়টি জানান রুহুল আমিন। আসামের বরাক উপত্যকার অন্তর্গত কাছাড়, করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দি জেলার মানুষদের কাছে বাংলাদেশি ভিসার চাহিদার গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, মূলত এই দিকটি চিন্তাভাবনা করেই কাছার জেলার সদর শহর শিলচরে একটি বাংলাদেশি ভিসা কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একটি বেসরকারি সংস্থা ‘ডিউ ডিজিটাল’ এই উদ্যোগ নিয়েছে। এর আগে, সংস্থাটি কলকাতার সল্টলেক ও পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে চালু রেখেছে।
জানা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে ওই ভিসা কেন্দ্র চালু হয়ে যাবে। তবে এতে সবচেয়ে সুবিধা হবে আসামবাসীর। বিশেষ করে আসামের বরাক উপত্যকার অন্তর্গত কাছার, করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দি জেলার মানুষদের কাছে বাংলাদেশ ভিসার চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়েই, শিলচরে বাংলাদেশ ভিসা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি কাছাড় জেলার কাটিগোড়ায় সুরমা নদীর তীরে পাঁচশো বিঘা জমিতে প্রস্তাবিত সীমান্ত হাট স্থাপনের প্রস্তাব বিষয়ে রুহুল আমিন বলেছেন, আসামের কাটিগোড়ার হরিনগর-২ অংশে বর্ডার হাট শুরু করার যে প্রস্তাব ছিল, সেটি বিবেচনাধীন রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে সেটি শুরু করা যাবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষের মধ্যে সদিচ্ছা ও সমন্বয় স্থাপনের জন্য এ ধরনের দুইটি সীমান্ত হাট খোলার কথা ভাবছে। কারণ আমাদের সরকার সবসময় ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার উপর জোর দিয়ে থাকে।