ঢাকায় শুরু হলো আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন; উদ্বোধন করলেন পরিবেশমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:১৯ PM

বেসরকারি সংগঠন অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের উদ্যোগে দেশে নবমবারের মতো আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলন শুরু হয়েছে। ‘ওয়াটার, রিভারস, এন্ড ক্লাইমেট চেইঞ্জ : ক্রিয়েটিং স্পেস ফর রেজিলেন্স’ প্রতিপাদ্যে অ্যাকশনএইড আয়োজিত এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। 

আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) গুলশানের সিক্স সিজন হোটেলে প্রধান অতিথি হিসেবে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। 

এ সময় পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পানিসম্পদ রক্ষা, সবার জন্য পানির অধিকার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট এনজিওদের সঙ্গে একযোগে করবে সরকার। সরকারি, বেসরকারি সংস্থাগুলো একসঙ্গে কাজ করে আমরা পানির সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। সবার জন্য পানি নিশ্চিতে এবং সুরক্ষিত বিশ্বের জন্য আমাদের সবাইকেই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।

জনাব সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সুপেয় পানির সংকট একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, কিন্তু এটি স্থানীয়ভাবে সমাধান করতে হবে। সরকার এজন্য পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। সমাজের সব শ্রেণির ব্যক্তিদের একসঙ্গে কাজ করে প্রত্যেকের বেঁচে থাকার এবং উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় পানি পেতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের তরুণদের নদী রক্ষা ও পানির অধিকার নিশ্চিতে এগিয়ে আসতে হবে।

এর আগে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সম্মেলন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে পানির ন্যায্যতা এবং নদী ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জগুলো এবং সুযোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে নারী, পুরুষ, যুবগোষ্ঠী, নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও অনুশীলনকারীদের একত্রিত করতে সহায়তা করবে। তা ছাড়া পূর্ববর্তী আটটি আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই সম্মেলনটি অর্থপূর্ণ বিকল্পগুলোর সুপারিশ করবে। যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে পানির ন্যায্যতা সৃষ্টিতে অবদান রাখতে সক্ষম হয়।

পানি সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন, অ্যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারপারসন ইব্রাহিম খলিল আল-জায়াদ এবং অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির।  

‘জলবায়ু পরিবর্তনের রাজনীতির মোকাবিলা’ শীর্ষক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।