ঘন কুয়াশায় ঢাকায় নামতে পারেনি বিমান; গেল কলকাতা-হায়দ্রাবাদে
ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশেই যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর ফলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় দুই ঘণ্টায় পাঁচটি ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি। পরে ফ্লাইটগুলো ভারতের কলকাতা ও হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে এ তথ্য জানান।
কামরুল ইসলাম জানান, ঘন কুয়াশার কারণে আজ বুধবার ভোর রাত ৪টা ১৬ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঁচটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি। ফ্লাইটগুলো ডাইভার্ট করে হায়দ্রাবাদ ও কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
পরবর্তীতে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের পর থেকে ফ্লাইটগুলো হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাভাবিকভাবে ফিরতে শুরু করে।
এর আগে, ৪ জানুয়ারি ঘন কুয়াশায় শাহজালাল বিমানবন্দরের ১৩টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরণে জটিলতা দেখা দেয়। পরে সিলেট, চট্টগ্রাম, কলকাতা ও হায়দ্রাবাদে ফ্লাইটগুলো অবতরণ করে।
এদিকে ঘন কুয়াশায় রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চালাতে হচ্ছে গাড়ি। দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ি চলছে ধীর গতিতে। অনেক ভারী যানবাহন কুয়াশা না কাটা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকছে রাস্তার পাশে। আবার ঝুঁকি নিয়েও চলছে অনেকে।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলছেন, পাঁচ থেকে ছয় মিনিটের রাস্তা যেতে হচ্ছে ৩০ মিনিটে। তারপরও লম্বা সময় দাঁড়িয়ে গাড়ি পাওয়া যায় না।
চালকরা বলছেন, যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। ঘন কুয়াশায় এক হাত সামনে কি আছে দেখা যাচ্ছে না।
ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কেও ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। অনেক সময় থেমে থাকছে গাড়ি। গন্তব্যে পৌঁছাতে লাগছে বাড়তি সময়।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাত থেকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত দেশের পাঁচ বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির পর মেঘ ও কুয়াশা পরিষ্কার হয়ে গেলে মিলবে সূর্যের দেখা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) খুলনা বিভাগের দুই একটি জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। ২০ তারিখের পর কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ কেটে গেলে আবার ঠান্ডা বাড়তে শুরু করবে। যা এ মাস জুড়েই অব্যহত থাকবে।