প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ, আগামীকাল প্রতীক বরাদ্দ ও প্রচারণা শুরু
আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এখন পর্যন্ত এই নির্বাচনে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৬০ জন। এদিকে আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন।
এরপর আগামীকাল চূড়ান্ত হবে প্রার্থী তালিকা। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রার্থীদের নামে বরাদ্দ দেয়া হবে নির্দিষ্ট প্রতীক। এরপর শুরু হবে নির্বাচনী প্রচার।
আজ রাজনৈতিক দলগুলোকেও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে তাদের চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম জানিয়ে দিতে হবে। কোনো দল তার দলীয় প্রতীক, জোটভুক্ত কোনো দলের প্রার্থীর অনুকূলে বরাদ্দ দিতে চাইলে সেটিও জানাতে হবে।
সোমবার রিটার্নিং কর্মকর্তারা বৈধ প্রার্থীদের অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দ দেবার পরে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় শুরু করতে পারবে প্রার্থীরা।
ফলে সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে এই নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৬০ জন।
তবে এটিই চূড়ান্ত সংখ্যা নয়। আপিলে ইসির দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রার্থীদের উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেখানে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। ফলে এতে বাড়তে বা কমতে পারে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩০ নভেম্বর। ওই দিন পর্যন্ত দেশের ৩০০ আসনে দুই হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মনোনয়নপত্র ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
এতে এক হাজার ৯৮৫ জনের প্রার্থিতা বৈধ এবং ৭৩১ জনের প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, বৈধ ও অবৈধ-দুই ধরনের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা যায়। নির্বাচন কমিশনে ৫৬০টি আপিল জমা হয়।
আপিলে বাতিল হওয়া ছয় প্রার্থীকে বাদ দিয়ে এবং নতুন করে ফিরে আসা ২৮০ জনকে যুক্ত করলে এ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২ হাজার ২৬০ জনে।