৫ বছরে ইমরানের আয় বেড়েছে ৫০ শতাংশ; অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৪৭ শতাংশ
গত পাঁচ বছরে সিলেট-৪ আসনের সংসদ-সদস্য ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদের স্ত্রী অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমদের সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। আর এই সময়ে ইমরান আহমদেরও সম্পদ বেড়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য জমা দেওয়া হলফনামা থেকে তথ্য পাওয়া গেছে।
হলফনামা ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে মন্ত্রীর আয় বেড়েছে ৫০ শতাংশ। আর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৪৭ শতাংশ।
তবে সম্পদের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াকে স্বাভাবিক বলেই মনে করেন ইমরান। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, তার পরিবার আগে থেকেই সম্পদশালী। যা বেড়েছে, তা তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
হলফনামা ঘেঁটে দেখা যায়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের বার্ষিক আয় বেড়ে হয়েছে ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ২৫১ টাকা। গত ২০১৮ সালে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২৩ লাখ ৫১ হাজার ৬২৩ টাকা। অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে তাঁর আয় বেড়েছে ২০ লাখ ৮৮ হাজার ৬২৮ টাকা।
বার্ষিক আয়ের পাশাপাশি মন্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ। হলফনামা অনুযায়ী তাঁর অস্থাবর সম্পদ তিন কোটি ৭৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২১ টাকা, ২০১৮ সালে যা ছিল এক কোটি ৫২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৯৭ টাকা।
ইমরান আহমদের স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদও দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। ২০১৮ সালের হলফনামা অনুযায়ী, ইমরানের স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা ছিল এক কোটি ৫৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৬০ টাকা। আর এবারের হলফনামায় ইমরান আহমদ উল্লেখ করেছেন, স্ত্রীর নামে ব্যাংকে ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৮৩ হাজার ৯ টাকা রয়েছে।
এই পাঁচ বছরে স্ত্রীর ব্যাংকে জমা টাকার পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে ইমরানের স্ত্রীর ১৬ লাখ ২২ হাজার টাকা মূল্যের একটি সুজুকি গাড়ি ছিল। এবার সেই গাড়ির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ২৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি হার্ড জিপ। ৫ বছর আগে ড. নাসরিন আহমদের কোনো কৃষিজমি ছিল না।
এবার হলফনামায় তার ৭৫ লাখ ১৮ হাজার ৫৬০ টাকা মূল্যের ১০৫ শতক কৃষিজমির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫০ হাজার টাকার স্বর্ণ, পাঁচ কাঠা অকৃষি জমি, ছয়তলা ভবনের ২৫ শতাংশ মালিকানার বিষয় উল্লেখ রয়েছে। এগুলো ৫ বছর আগেও ছিল।