খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দুই ফসলি জমি রক্ষায়ও সরকার বদ্ধ পরিকর: ভূমি সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২১ PM

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দুই ফসলি জমি রক্ষায়ও সরকার বদ্ধ পরিকর বলে জানিয়েছেন ভূমি সচিব মো: খলিলুর রহমান।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত 'বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক প্রেক্ষিতে জলবায়ু পরিবর্তন এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি' শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। কর্মশালায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।

ভূমি সচিব বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভূ-প্রাকৃতিক যে পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে, তাতে ভূমি মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছে যেমন। তিনি বলেন, ভূমি জোনিং প্রকল্প সমগ্র বাংলাদেশের মৌজা ভিত্তিক ডিজিটাল জোনিং ম্যাপ প্রণয়নের কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, ডিজিটাল ভূমি জরিপ করার জন্য কোরিয়ান আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ইডিএলএমএস প্রকল্পের আওতায় ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে’ কার্যক্রম ৬টি এলাকায় কাজ করছে।

এ সমস্ত কাজ বাস্তবায়নের ফলে ভূমি মন্ত্রণালয় যেমন একদিকে ভূমি ব্যবস্থাপনায় আধুনিক সেবা নিশ্চিত করছে, তেমনি জলবায়ু পরিবর্তনে সরকারকে সঠিক তথ্য উপস্থাপনে সাহায্য করতে পারছে বলে ভূমি সচিব মনে করেন। তিনি বলেন, জলবায়ু মোকাবেলায় সরকারের কাজের সফলতার স্বীকৃতি সরূপ দুবাইতে চলমান জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৮)-এ বাংলাদেশ বৈশ্বিক অভিযোজন অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছে।

উল্লেখ্য, সরকার দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিন ফসলি জমি সুরক্ষায় এ ধরণের জমিতে কোনো ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত ইতোপূর্বে নিয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইশরাত ফারজানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তা হিসেবে ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আব্বাছ উদ্দিন এবং উপসচিব এ.টি.এম আজহারুল ইসলাম। কর্মশালার শেষ পর্বে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণ জলবায়ু সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মিথস্ক্রিয়ায় অংশ নেন। কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও প্রভাব, ঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয় এবং অভিযোজন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে ভূমি মন্ত্রণালয়ের করণীয় বিষয়ে সুপারিশমালা প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।

প্রসঙ্গত, কৃষিজমি সুরক্ষা, অকৃষি জমির সর্বোচ্চ সীমার বিধান, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাসের উদ্দেশ্যে করার উদ্দেশ্যে 'ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইন, ২০২৩’-এর খসড়া চূড়ান্তকরণের কাজ করছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত ডেল্টা কাউন্সিলের পদাধিকারবলে অন্যতম সদস্য ভূমিমন্ত্রী। দেশে বন্যা, নদী ভাঙন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার দীর্ঘমেয়াদী জাতীয় কৌশল হচ্ছে ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’।