সড়ক নিরাপত্তায় সচেতনতা বাড়াতে পালিত জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক   নিজস্ব প্রতিবেদক  
প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৩ PM

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সারাদেশে পালিত হয়েছে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৫। দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল— 'মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি।'

এ উদ্যোগের মূল আয়োজক সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, যার সার্বিক বাস্তবায়নে অংশ নেয় বিআরটিএ, সওজ, ডিএমপি, বিআরটিসি, ডিটিসিএ, ব্র্যাক ও নিরাপদ সড়ক চাইসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

দিবসটি উপলক্ষে সকালে হাতিরঝিল থেকে সড়ক ভবন পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) অডিটরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আর বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) মো. খোদা বখস চৌধুরী। আলোচনা সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ, এনজিও ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বক্তারা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চালক, যাত্রী ও পথচারীদের সচেতনতা ও প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে বিআরটিএ নির্বাচিত ১৬ জন দক্ষ চালককে ‘সেরা চালক’ হিসেবে সনদ প্রদান করা হয়। জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সড়ক নিরাপত্তা প্রচার অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে আগামী এক মাস ঢাকার ১০টি ও জেলা পর্যায়ের ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সড়ক নিরাপত্তা সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পেশাদার চালকদের জন্য সপ্তাহব্যাপী স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে ১০ হাজার হেলমেট বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

দিবসটি ঘিরে রাজধানীর হাতিরঝিল, ফার্মগেট, কাকলী ও তেজগাঁও সাতরাস্তা এলাকার রাস্তার দ্বীপগুলো আলোকসজ্জা ও ব্যানারে সজ্জিত করা হয়। পাশাপাশি বাস টার্মিনালগুলোতে সচেতনতামূলক লিফলেট, পোস্টার ও স্টিকার বিতরণ করা হয়। বিটিআরসি’র সহায়তায় মোবাইল ফোনে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে এসএমএস প্রচার করা হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ৬৭ হাজার ৮৯০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৭২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন আরও অনেকে। দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে চালকের অদক্ষতা, ট্রাফিক আইন অমান্য ও পথচারীদের অসচেতনতা চিহ্নিত করা হয়েছে।