একটি প্রতিষ্ঠান একটি গণমাধ্যমের মালিক হতে পারবে: গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৯ PM

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। আজ শনিবার (২২ মার্চ) যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রতিবেদন জমা দেন।  

প্রতিবেদন জমা হওয়ার পর ব্রিফিংয়ে প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরেন মিশন প্রধান ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ। 

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কমিশনের বেশ কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে। কামাল আহমেদ বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান একটি গণমাধ্যমের মালিক হতে পারবে— এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।  এ ছাড়া বাসসকে জাতীয় সম্প্রচার সংস্থার সাথে একীভূত করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।  

কামাল আহমেদ বলেন, এক প্রতিষ্ঠান একটিমাত্র গণমাধ্যমের মালিক হতে পারবেন এমন প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। ওয়ান হাউস ওয়ান মিডিয়ার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারকে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। দুটি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা তৈরি করতে হবে। এই সংস্থাকে স্বায়ত্তশাসনের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে।

শনিবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, বিসিএস ক্যাডারদের এন্ট্রি ৯ম গ্রেডের যে বেতন, সাংবাদিকতা শুরুর বেতন তার সঙ্গে মিল রেখে যেন করা হয় প্রতিবেদনে সেই সুপারিশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এটা সারা দেশেই নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ঢাকায় এর পাশাপাশি ‘ঢাকা ভাতা’ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সাংবাদিকতা করতে হলে ন্যূনতম স্নাতক পাসের যোগ্যতা থাকতে হবে। প্রথমে ‘শিক্ষানবিশ সাংবাদিক’ হিসেবে কাজ করতে হবে। শিক্ষানবিশ হিসেবে এক বছর কাজ করতে হবে। এরপর প্রমোশন পাবে। 

কমিশন প্রধান বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইন তৈরির সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। সেই আইনের খসড়াও তৈরি করে দেয়া হয়েছে। সরকারের হিসাবে ৬০০ পত্রিকা রয়েছে যারা সরকারি বিজ্ঞাপন পাওয়ার যোগ্যতা রাখে, কিন্তু বাস্তবে প্রকাশিত বিক্রিত পত্রিকার সংখ্যা মাত্র ৫২টি। প্রতারণা করে সরকারি বিজ্ঞাপন হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে।

কামাল আহমেদ বলেন, গণমাধ্যমে কালো টাকা ঢুকেছে। রাজনৈতিক পরিচয় ও অন্ধকারে রেখেই গণমাধ্যমের মালিকানা দেওয়া হয়েছে। সব কয়টি টেলিভিশনের আবেদনে দেখা গেছে জনস্বার্থ কোনোটিতেই ছিল না। সবগুলোই রাজনৈতিক পরিচয়ে দেওয়া হয়েছে।