শুরু হচ্ছে মিস বাংলাদেশ আর্থ; আবেদন করতে পারবেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২৫, ১২:১১ PM

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নারীদের প্রতিনিধিত্বের নতুন দ্বার উন্মোচন করতে ঢাকায় শুরু হয়েছে ‘মিস বাংলাদেশ ইমপ্যাক্ট ফোরাম ২০২৫’। ১৫ জুলাই রাজধানীর লে মেরিডিয়ান হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মেঘনা আলম।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৮ থেকে ২৬ বছর বয়সী, অবিবাহিত, সুনাগরিক, পরিবেশবান্ধব ও বৈশ্বিক সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত নারীরা আজ (১৭ জুলাই) থেকে www.missbangladesh.com ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবেন। প্রাথমিক বাছাই শেষে ১০০ জন প্রতিযোগীকে ২৬ সেপ্টেম্বর লে মেরিডিয়ানে অডিশনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে।

যেসব প্রতিযোগী প্লাস্টিক ও বর্জ্য দিয়ে নতুন কিছু তৈরি করে তা দিয়ে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পারবেন, তাদের মধ্য থেকে ২০ জনকে এক মাসের ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিত করা হবে।

ফেলোশিপে থাকছে পেজেন্ট ট্রেনিং, অ্যাডভোকেসি স্পিচ, উদ্যোক্তা শিক্ষা, প্রজনন ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং ফিটনেসের ওপর প্রশিক্ষণ। চূড়ান্ত বিজয়ী ‘মিস বাংলাদেশ–আর্থ’ হিসেবে ২৫তম মিস আর্থ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন ফিলিপাইনে।

গত বছর ‘মিস বাংলাদেশ বিউটি পেজেন্ট ২০২৪’-এর মাধ্যমে ১০ জন বাংলাদেশি নারী এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা ও আমেরিকার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন। চূড়ান্ত বিজয়ী অংশ নেন জাতিসংঘ ও জলবায়ু ন্যায়বিচার সংক্রান্ত ‘মিস আর্থ’ প্রতিযোগিতায়। এবার এই উদ্যোগ আরও বিস্তৃত হয়ে রূপ নিয়েছে ‘মিস বাংলাদেশ ইমপ্যাক্ট ফোরাম ২০২৫’-এ, যা একটি বৈশ্বিক কূটনৈতিক ও নেতৃত্ব প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা নারীর দৃশ্যমানতা, সমাজের চাপ এবং কীভাবে তারা এসব বাধা অতিক্রম করেছেন, সে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের এসডিজি কো-অর্ডিনেটর ডা. তাসিন আফরিন ডায়ানা, আন্তর্জাতিক আইন উপদেষ্টা তাহরিন জেরিন, হারনেট টিভির সিইও আলিশা প্রধাণ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক নাসরিন সিরাজ অ্যানি (পিএইচডি), লে মেরিডিয়েন ঢাকার জিএম কনস্ট্যান্টিনোস এস গ্যাভ্রিয়েল, কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মেহরিন এবং চল পড়ি’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সৃজনশীল পরিচালক ক্যাটেরিনা ডন।

মেঘনা আলম বলেন, ‘এই ফোরাম নীরবতা, কলঙ্ক ও বাধার জবাব। আমরা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করছি, পরিবেশ রক্ষা করছি এবং নেতৃত্ব তৈরি করছি। বাংলাদেশ করুণা নয়, সম্মান ও অংশীদারিত্ব চায়। আমরা চাই সংহতি।’

ফোরামের কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের প্রভাবশালী সামাজিক দূত হিসেবে উপস্থাপন, জলবায়ু ন্যায়, লিঙ্গ সমতা ও তরুণ নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা, সাংবাদিক, এনজিও, কূটনীতিক ও অংশগ্রহণকারীদের স্বীকৃতি প্রদান এবং জাতিসংঘ ও দূতাবাসের সঙ্গে কূটনৈতিক সংলাপের সুযোগ।