রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে নাকি বন্ধ; জট খুলবে আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২৪, ১১:৩১ AM

আপিল বিভাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে কি না–এ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ গতকাল সোমবার স্থগিত করেনি আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত।

এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে। এরপরই ফয়সালা হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধ থাকার বিষয়টি।

সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ১০ রোজা পর্যন্ত প্রাথমিক এবং ১৫ রোজা পর্যন্ত মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকার কথা। কিন্তু রবিবার হাইকোর্ট রমজানে স্কুল খোলা রাখার দুই প্রজ্ঞাপন স্থগিত করে। হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে বাড়ে জটিলতা। 

এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।

শুনানিতে এ কে এম ফয়েজ বলেন, রমজান মাস পবিত্র মাস। করোনার সময় দুই বছর সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। রমজানে ১০-১৫ দিন স্কুল বন্ধ রাখলে পড়ালেখার কোনো ক্ষতি হবে না। বরং খোলা রাখলে যানজটের সৃষ্টি হবে, অভিভাবকরা সমস্যায় পড়বেন। এ ছাড়া স্কুল বন্ধ রাখতে অভিভাবকরা বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন করে যাচ্ছেন।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, স্কুল খোলা রাখা সরকারের পলিসির বিষয়। হাইকোর্ট এখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

এদিকে আপিল বিভাগ পরবর্তী কোনো আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল খোলা থাকবে না বন্ধ থাকবে–তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় অনেক প্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানান, হাইকোর্টের লিখিত আদেশ এখনও পায়নি মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায়ও জানায়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে।

তাদের এমন সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।