আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানোর ক্ষেত্রে হাইকোর্টের নতুন নির্দেশনা
শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও দুর্ধর্ষ আসামি ছাড়া কাউকে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ নয় জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। আগামী ১১ মার্চ রুল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ প্রকৃতির বন্দিদের আদালতে হাজিরা বা অন্যত্র আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে ডান্ডাবেড়ি পড়ানো যাবে। এর বাইরে কোনো বন্দি বা আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না।
প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ১৩ জানুয়ারি বিকেলে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে বাবার জানাজায় অংশ নেন ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা। নামাজের সময় হাতকড়া খুলে দেওয়া হলেও খোলা হয়নি পায়ের ডান্ডাবেড়ি।
গত ১৬ জানুয়ারি বাবার জানাজায় ছাত্রদলের এক নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আনার ঘটনা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। রিটে দেশের সব কারাগারে গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরানো বন্ধ চাওয়া হয়।
‘ডান্ডাবেড়ি পায়ে বাবার জানাজা পড়লেন ছাত্রদল নেতা’ শিরোনামে গত ১৩ জানুয়ারি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা। সময় সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে নির্ধারিত জানাজার আগেই আয়োজন করা হয় বিশেষ জানাজার। গত শনিবার বেলা তিনটার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে ওই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার সময় নাজমুলের হাতকড়া খুলে দেওয়া হলেও খোলা হয়নি পায়ের ডান্ডাবেড়ি। মো. নাজমুল মৃধা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জানাজা শেষে তাকে আবার পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।