৪৩তম বিসিএসের নতুন প্রজ্ঞাপন; বাদ পড়লেন ১৬৮ জন
৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) জারি করা এ প্রজ্ঞাপনে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েছেন ১৬৮ জন প্রার্থী। এর আগে ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাদ পড়েছিলেন ৯৯ জন। এ নিয়ে ৪৩তম বিসিএসে মোট বাদ পড়লেন ২৬৭ জন।
সোমবার প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশপ্রাপ্ত ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থীকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে নিয়োগ দেওয়া হলো। এসব প্রার্থীকে আগামী ১৫ জানুয়ারি চাকরিতে যোগ দিতে হবে।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই প্রজ্ঞাপনে ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে নতুন প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়লেন ১৬৮ জন। বাদ পড়া ১৬৮ জনের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে বাদ পড়েছেন ২৬ জন। পররাষ্ট্র ক্যাডারে তিনজন এবং পুলিশে ৮ জন বাদ পড়েছেন।
৪৩তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সুপারিশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন। সুপারিশের দীর্ঘ ১০ মাস পর ১৫ অক্টোবর যে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল।
এর আগে ৪১তম বিসিএসের গেজেট থেকে বাদ পড়েন ৬৭ জন, ৪০তম বিসিএস থেকে ৩৪ জন, ৩৭তম বিসিএস থেকে ৬১ জন, ৩৮তম থেকে ৭৫ জন এবং ৩৬তম থেকে ৩৮ জন বাদ পড়েছিলেন।
২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি। সিদ্ধান্ত অনুসারে, ২ হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার পদে এবং ৬৪২ জনকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল।
এই বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বরে। সেই হিসেবে চার বছরের বেশি সময় পর নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতে যাচ্ছে।
এদিকে নতুন প্রজ্ঞাপন জারিতে ১৬৮ জন বাদ পড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, বিসিএসে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে ক্ষমতায় এসে ১৬৮ জনকে বাদ দিয়ে বৈষম্যের শুরু করল সরকার।