ইজতেমায় বাদ আসর অনুষ্ঠিত হবে যৌতুকবিহীন গণবিয়ে
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিনে মুসল্লিরা ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল ছিলেন। আজ মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর থেকে শীত উপেক্ষা করে শুরু হয়েছে বয়ান। পাকিস্তানের মাওলানা উবায়দুল্লাহ খুরশিদ বয়ান করছেন। ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।
ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, মঙ্গলবার ফজরের নামাজের পর ধর্মীয় বয়ান শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের মাওলানা উবায়দুল্লাহ খুরশিদ বয়ান করছেন। পৌনে ১০টায় ভারতের মাওলানা জামাল তালিমের মোজাকারা করবেন। এরপর খিত্তায় খিত্তায় তালিম দেওয়া হবে। একই সময় বয়ান মঞ্চের সামনে ভারতের মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে কথা বলবেন এবং পাকিস্তানের মাওলানা ফরীদ মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে আলোচনা করবেন।
হাবিবুল্লাহ রায়হান আরও জানান, আজ বাদ যোহর ভারতের মাওলানা ইসমাঈল গোদারা বয়ান করবেন, বাদ আসর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা জুহাইরুল হাসান। এরপর যৌতুকবিহীন গণবিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা।
এছাড়া, এখন পর্যন্ত ৭৬টি দেশ থেকে ৩,০৫০ জন বিদেশি মেহমান ইজতেমায় উপস্থিত আছেন। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কাজ করছে ১০ হাজার সদস্য। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) টহল দিচ্ছে, বোম ডিসপোজাল ইউনিট এবং ডগ স্কোয়াডও কাজ করছে। মাঠে ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ৩৩৫টি সিসি ক্যামেরা, ৩৫টি রুফটপ, ৫৩টি স্থির ব্রিগেড এবং ২০টি মোবাইল পার্টি সার্বক্ষণিক ডিউটিতে রয়েছে। এছাড়া ২০টি চেকপোস্টে তল্লাশি চলছে যাতে কোনো দুষ্কৃতকারী ময়দানে প্রবেশ করতে না পারে।