এবার ইংরেজিকে আমেরিকার দাপ্তরিক ভাষা করল ট্রাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ০৩ মার্চ ২০২৫, ১২:১১ PM

এবার ইংরেজিকে আমেরিকার দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সরকারি সংস্থা ও ফেডারেল তহবিল পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোগুলো ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষাতে নথি বা সেবা নিতে ভাষা বাছাই করতে পারবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

ট্রাম্পের নতুন এই নির্বাহী আদেশ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের একটি আদেশ বাতিল করে দিয়েছে। ২০০০ সালে ক্লিনটন স্বাক্ষরিত আদেশে, সরকার ও ফেডারেল তহবিল পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ইংরেজি না জানা ব্যক্তিদের ভাষা সহায়তা দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল।

বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, ‘ইংরেজিকে দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হলে কেবল যোগাযোগই সহজতর হবে না, বরং অভিন্ন জাতীয় মূল্যবোধকেও শক্তিশালী করবে। সুসংহত ও দক্ষ সমাজ গঠনেও এটি সহায়ক হবে।’

আদেশে আরও বলা হয়, ‘নতুন আমেরিকানদের স্বাগত জানানো এবং আমাদের জাতীয় ভাষা শেখা ও গ্রহণকে উৎসাহিত করার নীতি আমেরিকাকে একটি অংশীদারত্বমূলক দেশে পরিণত করবে। ইংরেজি জানা শুধু কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ায় না, এটি নতুন সমাজে সম্পৃক্ত হতে, জাতীয় সংস্কৃতিতে অংশ নিতে এবং সমাজে অবদান রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।’ 

মার্কিন সেন্সাস ব্যুরো অনুসারে, আমেরিকার ৩৪ কোটি বাসিন্দার মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলেন। এর মধ্যে ১৬০টিরও বেশি নেটিভ আমেরিকান ভাষা রয়েছে। তাছাড়া আমেরিকায় ইংরেজির পর সবচেয়ে বেশি কথ্য ভাষাগুলোর মধ্যে স্প্যানিশ, বিভিন্ন চীনা ভাষা এবং আরবি রয়েছে।

এদিকে ৩০টির বেশি অঙ্গরাজ্য এরই মধ্যে আইনগতভাবে ইংরেজিকে তাদের অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে গ্রহণ করেছে। অপরদিকে আলাস্কা ও হাওয়াই বেশ কয়েকটি নেটিভ ভাষাকে দাপ্তরিক মর্যাদা দিয়েছে।