ফিলিস্তিন দখল করে সেখানে আর ফিরতে না দেওয়ার হুমকি ট্রাম্পের

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৭ PM

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্ন দেশকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথমে গ্রিনল্যান্ড দখল, এরপর পানামা খাল দখলের হুমকির পর এবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা দখল করে সেখানে আর ফিলিস্তিনিদের ফিরতে দেবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, “না ফিলিস্তিনিরা আর গাজায় ফিরতে পারবে না, কারণ তাদের জন্য আরও ভালো আবাসন থাকবে। আরেক কথায়, (গাজার বাইরে) আমি তাদের জন্য স্থায়ী জায়গা তৈরির ব্যাপারে কথা বলছি।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, "গাজাবাসীর জন্য তিনি আলাদা পাঁচ থেকে ছয়টি আবাসন তৈরি করবেন। তিনি বলেন, “আমি তাদের জন্য স্থায়ী বাসস্থানের কথা বলছি, কারণ যদি তাদের এখন ফিরত হয়, তাহলে এটি অনেক অনেক বছর লাগবে। গাজা এখন বাসযোগ্য নয়। আমি গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দাদের জন্য ‘সুন্দর কমিউনিটি’ তৈরি করে দেব। যেগুলো হবে নিরাপদ। তবে তারা যেখানে এখন আছে সেখান থেকে এগুলো একটু দূরে হবে। বর্তমানে গাজা ঝুঁকিতে ভরা।”

ট্রাম্প আরও বলেন, “এই সময়ের মধ্যে আমি এটি কিনে নেব। এখানে ভবিষ্যত রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্টের কথা ভাবুন। এটি হবে একটি সুন্দর ভূখণ্ড। বড় অর্থ খরচ হবে না।”

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে যান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, "তিনি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা দখল করবেন এবং সেখানে নতুন বসতি গড়ে তুলবেন।" অপরদিকে ফিলিস্তিনিদের মিসর অথবা জর্ডানে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

তার এহেন বক্তব্যে পুরো বিশ্বে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। মিসর ও জর্ডান তার প্রস্তাব তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। এছাড়া সৌদি আরব, তুরস্ক, রাশিয়াসহ একাধিক দেশ এর বিরুদ্ধে বিবৃতি দেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গত ১৫ মাস গাজায় নির্বিচার বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল। সেখানকার প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে দখলদাররা। এছাড়া ৬০ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান