লেবানন থেকে ইসরায়েলি সেনা সরাতে নতুন প্রেসিডেন্টের আল্টিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৪ PM

গত বছর লেবাননে ভয়াবহ স্থল ও বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী লেবানন থেকে ইসরায়েলি সৈন্য সরানোর কথা রয়েছে। এবার লেবানন থেকে ইসরাইলি সেনা সরাতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন। তিনি দাবি জানিয়েছেন, গত বছর ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী ইসরাইলকে আগামী ২৬ জানুয়ারির মধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নিতে হবে। 

রাজধানী বৈরুতে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠকের পর শনিবার (১৮ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট আউনের কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, স্থল ও আকাশে ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত হামলা বিশেষ করে লেবানিজদের বাড়িঘর উড়িয়ে দেওয়া এবং সীমান্তবর্তী গ্রাম ধ্বংস- যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যা বলা হয়েছিল তার সম্পূর্ণ পরিপন্থি। এটি লেবাননের সার্বভৌমত্ব এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আদেশ লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত। 

লেবানন সফরে গিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘গত বছরের ২৭ নভেম্বর স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে নির্ধারিত সময়সীমার (২৬ জানুয়ারি) মধ্যে সেনাদের ‘নিরাপদ’ প্রত্যাহার নিশ্চিত করার জন্য তিনি ‘সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা’ করবেন।’

গুতেরেস বলেন, ‘আউনের নেতৃত্বে লেবাননের ‘আরও আশাব্যঞ্জক ভবিষ্যৎ’ অপেক্ষা করছে। দেশটি স্থিতিশীল এবং মধ্যপ্রাচ্যের একটি কেন্দ্র (হাব) হয়ে উঠতে পারে।’

যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে, হিজবুল্লাহকে লিটানি নদীর ওপারে পিছু হটতে হবে এবং অবশিষ্ট সামরিক অবকাঠামো ভেঙে ফেলতে হবে।

উল্লেখ্য, লিটানি নদী ইসরাইল সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার (২০ মাইল) দূরে অবস্থিত।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা দক্ষিণ লেবাননে ‘হিজবুল্লাহ বা অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর’ ১০০ টিরও বেশি অস্ত্রের মজুদ খুঁজে পেয়েছে। গুতেরেস শুক্রবার বলেছেন, তিনি ইসরাইলকে এই অঞ্চলে ‘দখলদারিত্ব’ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

দক্ষিণের অঞ্চলটি থেকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের সাথে লেবাননের সেনাবাহিনীও সেখানে মোতায়েন করা হচ্ছে।