পাকিস্তানে বিশাল স্বর্ণের খনির সন্ধান
বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে পাকিস্তান বর্তমানে গভীর আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। তবে এই কঠিন পরিস্থিতিতে একটি সুখবর দিয়েছেন দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের সাবেক খনিমন্ত্রী ইব্রাহিম হাসান মুরাদ।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানান, সিন্ধু নদীর পাঞ্জাব অংশের ৩২ কিলোমিটার জুড়ে অবস্থিত একটি খনিতে প্রায় ২৮ লাখ ভরি (প্রায় ৩৩ টন) স্বর্ণ মজুত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমান বাজারমূল্যে এই পরিমাণ স্বর্ণের দাম প্রায় ৮ হাজার কোটি পাকিস্তানি রুপি। পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা (জিওলজিক্যাল সার্ভে অব পাকিস্তান) এই জরিপটি পরিচালনা করেছে, এবং এটি ১২৭টি নমুনার পরীক্ষা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
মুরাদ বলেন, “আগামীতে যদি এই সোনার খনির উত্তোলন শুরু হয়, তাহলে তা পাকিস্তানের অর্থনীতিতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নানা নতুন সুযোগ তৈরি হবে।”
এদিকে, পাকিস্তানের বেকারত্বের হার বর্তমানে ভারতের তুলনায় অনেক বেশি, বিশেষত নারীদের জন্য কর্মসংস্থান আরও কঠিন। সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে পাকিস্তানে মেয়েদের চাকরি বা ব্যবসা করা অনেক ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হয়। সরকারি তথ্যে জানা গেছে, গত এক দশকে দেশটির বেকারত্বের হার ১.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। পাকিস্তানের জনসংখ্যা প্রতি বছর ৫০ লাখ বেড়ে যাচ্ছে, যার ফলে প্রতি বছর প্রায় ১৫ লাখ নতুন কর্মসংস্থানের চাহিদা তৈরি হচ্ছে।
এ বিষয়ে পাকিস্তানের পরিকল্পনা কমিশন সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে, যেখানে বেকারত্বের হার কমানোর জন্য মূল্যস্ফীতি কমপক্ষে ৬ শতাংশ হ্রাস করার সুপারিশ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গত বছরের নভেম্বর মাসে চীনের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, চীনে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্বর্ণখনির সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে আনুমানিক ১,০০০ টন স্বর্ণ মজুত রয়েছে। এর বাজারমূল্য প্রায় ৮,৩০০ কোটি ডলার বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ‘সাউথ ডিপ’ খনিটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণখনি ছিল, যেখানে ৯০০ টন স্বর্ণ ছিল।
