হিজবুল্লাহ–ইসরায়েল যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিল যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ইইউ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ AM

ফিলিস্তিনের পাশাপাশি এবার লেবাননেও পুরোদমে হামলা শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের বর্বর হামলায় এরই মধ্যে লেবাননে নিহত হয়েছেন নারী ও শিশুসহ ৬২০ জন। এছাড়া ঘরছাড়া হয়েছে ৯০ হাজারের অধিক মানুষ।

এদিকে লেবাননে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সহযোগী দেশগুলো। দুই দেশের সীমান্তে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চায় দেশগুলো।

এসব দেশের একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শত্রুতা ‘অসহনীয়’ এবং ‘বৃহত্তর অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকি’ উপস্থাপন করেছে, যা ইসরায়েল বা লেবাননের জনগণের স্বার্থে নয়।

এরআগে এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে কথা বলেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারোট। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর তিনি বলেন, ‘গত কয়েক ঘণ্টায় আমরা গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি করেছি এবং আগামী কয়েক ঘণ্টায় আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। একটি কূটনৈতিক সমাধান সত্যিই সম্ভব।’ 

ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, স্থানীয় পক্ষগুলোর সাথে কাজ করার জন্য সপ্তাহের শেষে বৈরুতে ভ্রমণ করবেন তিনি। বিস্তারিত শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে এবং কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করার অনুমতির জন্য তিনি উভয় পক্ষের ওপর নির্ভর করছেন।

একাধিক সূত্র সিএনএনকে বলেছে, আমেরিকান কর্মকর্তারা ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশের প্রতিপক্ষের সাথে একটি কূটনৈতিক চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। এর ফলে ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে যুদ্ধ থামবে এবং গাজায় জিম্মিদের মুক্ত করতে যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু হবে। 

কয়েক দিন ধরেই লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। সম্প্রতি হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় সাড়ে ৫ শ’র বেশি মানুষ নিহত হন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা এটি।

হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলা এখনও অব্যাহত রয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বের কয়েকটি এলাকায় হামলার মধ্যেই রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শুরু হয়েছে। 

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর থেকেই গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ অবস্থায় ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।