বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া নিয়ে যা জানালো ভারত
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নতুন করে ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয় ভারত। এদিকে ভিসা না পাওয়ায় গত ২৬ আগস্ট রাজধানী ঢাকায় ভারতীয় ভিসা সেন্টারে অসংখ্য ভিসাপ্রত্যাশী বিক্ষোভ করেন। এদিন স্লোগানে-স্লোগানে তারা বলতে থাকেন- “এক দফা এক দাবি, ভিসা চাই ভিসা চাই, ভারতের দালালরা হুঁশিয়ার সাবধান, ভিসা দে নইলে টাকা ফেরত দে।”
এ ঘটনার চারদিন পর শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আপাতত বাংলাদেশিদের শুধুমাত্র চিকিৎসা ও এবং জরুরি প্রয়োজনীয় ভিসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের কার্যক্রম চলছে সীমিত পরিসরে। যখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তখন পূর্ণমাত্রায় কাজ শুরু হবে এবং ভিসা প্রদান স্বাভাবিক হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল বলেন, “আমরা সীমিত পরিসরে চিকিৎসা ও জরুরি প্রয়োজনীয় ভিসা প্রদান করছি। যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, আইন ও শাসন ফিরে আসবে, তখন আমরা ভিসা নিয়ে পুরিপূর্ণ কাজ শুরু করব।”
এছাড়া সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে থাকা এবং বাংলাদেশ সরকারের তাকে ফেরত চাওয়ার ব্যাপারেও কথা বলেছেন রণধীর জসওয়াল। তিনি জানিয়েছেন, হাসিনা খুবই স্বল্প সময়ের নোটিশে ভারতে এসেছিলেন। এর বাইরে তাদের কাছে আর কোনো খবর নেই।
এসব ছাড়াও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। ভারতীয় এ কূটনীতিক দাবি করেন বাংলাদেশের ভয়াবহ বন্যার জন্য ভারতকে দোষারোপ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে এটি সঠিক নয়।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদন আমরা দেখেছি। এটি বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবে সত্য নয়। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিবৃতি দিয়েছিল সেটির বক্তব্য এই প্রতিবেদনে উপেক্ষা করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেছেন, “এছাড়া যৌথ পানি ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান যৌথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা যে (বাংলাদেশের সঙ্গে) নিয়মিত এবং সময়মতো তথ্য আদান প্রদান করি সেটিও প্রতিবেদনে বলা হয়নি।”
সূত্র: এএনআই