তীব্র গরমে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করতে বলছেন ফিলিপাইনের বিশপরা
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। এদের মধ্যে অন্যতম হলো ফিলিপাইন। এরই মধ্যে দেশটিতে ৪৮ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে তাপমাত্রা। এই ঝলসে যাওয়া চরম তাপপ্রবাহ থেকে স্বর্গীয় ত্রাণ পেতে এগিয়ে আসছেন ফিলিপাইনের ক্যাথলিক বিশপরা। তাদের প্রতিপালকের নিকট বৃষ্টি এবং নিম্ন তাপমাত্রার জন্য বিশেষ প্রার্থনা পাঠ করার নির্দেশ দিচ্ছেন তারা।
ফিলিপাইনের ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে গত সপ্তাহে কয়েক হাজার স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে দেশটির সরকার। তীব্র গরমে দেশটিতে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে। এজন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের উপর জোর দিয়েছে সরকার।
এই বছরের শুরুতে শুরু হওয়া একটি বিস্তৃত এল নিনো খরা সমস্যাটিকে আরও জটিল করে তুলছে। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, দেশটিতে এ পর্যন্ত ৫.৯ বিলিয়ন পেসো ($১০৩ মিলিয়ন) মূল্যের কৃষি পণ্য নষ্ট হয়েছে।
ফিলিপাইনের ক্যাথলিক বিশপস কনফারেন্স একটি "ওরেশিও ইমপেরাটা" জারি করেছে, যা প্রধানত দেশটির ক্যাথলিক জাতির দুর্যোগ থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা পাঠ করার নির্দেশ দেয়।
প্রার্থনায় বলা হয়েছে, "আমরা আপনার কাছে (সৃষ্টিকর্তা) বিনীতভাবে অনুরোধ করছি যে, প্রবল উত্তাপে জনগণকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের কার্যক্রম ব্যহত করে এবং তাদের জীবন ও জীবিকার জন্য হুমকির সম্মুখীন হওয়া থেকে আমাদেরকে মুক্তি দান করুন।
প্রার্থনায় আরও বলা হয়েছে, "আমাদের ক্ষয়প্রাপ্ত জলের উত্সগুলিকে পুনরায় পূরণ করতে, আমাদের ক্ষেতে সেচের জন্য, জল এবং বিদ্যুতের ঘাটতি দূর করতে এবং আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনের জন্য জল সরবরাহ করতে আমাদের জন্য বৃষ্টি পাঠান।"
এদিকে তীব্র গরমে ফিলিপাইনে প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো শহরের ধ্বংসাবশেষের আবারও দেখা মিলেছে। কৃত্রিম হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় শহরটি এখন দৃশ্যমান।
খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা শহরটি দেখতে সেখানে ভিড় করছেন। এক সময়ের বিশাল অট্টালিকার ধ্বংসাবশেষের ওপর উঠে অনেকে ছবি তুলে রাখছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তীব্র তাপপ্রবাহে একটি বড় বাঁধের ভেতরের জলাধার শুকিয়ে গেছে। ওই বাঁধ নির্মাণের ফলে ১৯৭০-এর দশকে প্রাচীন পান্তাবঙ্গন শহরটি নিমজ্জিত হয়। কিন্তু আবহাওয়া শুষ্ক, গরম ও খরায় হঠাৎ শহরটি দৃশ্যমান হয়। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বেশ কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র: আরব নিউজ, বিবিসি