ত্রাণ সরবরাহে গাজায় বন্দর নির্মাণ করছে যুক্তরাষ্ট্র
গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজাবাসীর উপর অমানবিক ও নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। ৬ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় বিপর্যস্ত গাজাবাসী। নেই জীবনধারণের প্রয়োজনীয় উপকরণ। তাই ফিলিস্তিনের গাজা উপকূলে অস্থায়ী বন্দর নির্মাণ শুরু করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। যুদ্ধে বিপর্যস্ত গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ সরবরাহে এ বন্দর ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দ্য গার্ডিয়ান ও ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত ১ হাজার মার্কিন সেনা কাজ শুরু করেছে। যুদ্ধজাহাজে করে নির্মাণসামগ্রী নেওয়া হয়েছে। ত্রাণবাহী জাহাজ থেকে খাদ্য ও মানবিক সহায়তা খালাসে ভূমধ্যসাগর থেকে উপকূলে যাওয়ার একটি রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে।
বিষয়টি পেন্টাগন সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, অস্থায়ী বন্দর নির্মাণে সেনা পাঠালেও তাদের গাজার মাটিতে পা ফেলতে নিষেধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাই তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে স্থল অংশের কাজ করা হবে।
আরও জানা গেছে, আগামী মে মাসেই সেটি প্রস্তুত হয়ে যাবে। এরপরই এটি ব্যবহার শুরু করতে পারবে বিভিন্ন পক্ষ।
ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানের কারণে স্থলপথে গাজায় ত্রাণ পাঠানো দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। ইসরায়েলি চৌকিতে তল্লাশির নামে দীর্ঘক্ষণ ত্রাণবাহী ট্রাক আটকে রাখা হচ্ছে। এতে অনেক খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে ইসরায়েলি হামলার শিকার হচ্ছেন ত্রাণকর্মীরা।
পেন্টাগন জানিয়েছে, অস্থায়ী বন্দরটি চালু হলে গাজার প্রায় ২৩ লাখ মানুষ উপকৃত হবে। প্রাথমিকভাবে ৯০টি ট্রাক সেখান থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করতে পারবে৷ কাজ পুরোপুরি শেষ হলে ১৫০টি ট্রাক সেই বন্দরে ভেড়া জাহাজ থেকে ত্রাণ খালাস করবে।
তবে এতেও ইসরায়েলি তল্লাশি চৌকির ঝামেলা থাকছে। ইসরায়েলি সেনারা ত্রাণসামগ্রী পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর উপযুক্ত মনে করলেই তা খালাসের অনুমতি মিলবে।
কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ইসরায়েল চায় না হামাস ত্রাণ পাক। আবার ত্রাণের নামে অস্ত্র যেন গাজায় না ঢুকে সে ব্যাপারে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) বেশ সতর্ক।
এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা কমার কোনো লক্ষণ নেই। ছোট্ট এই উপত্যকার উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ অঞ্চলে দিনরাত বোমা ও স্থল হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।