পুতিনের দেওয়া গাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কিম

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৪, ০২:১৪ PM

বিশ্বের ক্ষমতাধর শাসকের মধ্যে একজন হচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অন্যদিকে রহস্যময় প্রেসিডেন্ট হলেন উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন। দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এর প্রমাণ বিপদে একে-অপরের পাশে থাকা। প্রেসিডেন্ট কিম জং উনকে একটি বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) প্রথমবারের মতো সেই গাড়িতে চড়েছেন কিম জং উন। কিমের বোন কিম ইয়ো-জংয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গত বছরেরে সেপ্টেম্বরে কিম ও পুতিন বৈঠক করেছিলেন। ওই সময়ে পুতিন তাঁর হাই অ্যান্ড সিনাট লিমুজিনে চড়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন কিমকে। এরপর গত মাসে কিমকে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য একটি রুশ অরাস লিমুজিন গাড়ি উপহার দেন।

কিমের বোন কিম ইয়ো-জং বলেন, এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের ব্যাপারে একটি স্পষ্ট বার্তা পেল বিশ্বব্যাপী। সন্দেহ নেই যে, দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা আরও অনন্য উচ্চায় পৌঁছাবে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, অরাস লিমুজিন রাশিয়ার প্রথম বিলাসবহুল গাড়ি। ২০১৮ সালে পুতিন এই গাড়ি প্রথশবারের মতো ব্যবহার করেছিলেন।

গতকাল এই গাড়িতে চড়ে উড়োজাহাজের মহড়া পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি যুদ্ধের জন্য সত্যিকারের ও বাস্তবধর্মী প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেন। গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার বার্ষিক যৌথ মহড়ার পর কিম জং-উন নিজেদের এ মহড়া পরিদর্শন করলেন।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়াকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে উত্তর কোরিয়া সাহায্য করছে বলে অভিযোগ করেছে পশ্চিমারা। তাদের অভিযোগ, উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্র ইউক্রেনের নিরীহ মানুষের ওপর ব্যবহার করছে রাশিয়া। তবে কিম ও পুতিন—দুজনেই এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন। 

এদিকে রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চলছে। গতকাল শুক্রবার শুরু হওয়া এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে আগামীকাল রোববার পর্যন্ত। ইউক্রেনের অধিকৃত অঞ্চলের বাসিন্দারাও এ ভোটে অংশ নিচ্ছেন।  রাশিয়ার একটি স্বাধীন ভোট পর্যবেক্ষক গ্রুপ বলছে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর এবারই রুশ ইতিহাসের সবচেয়ে গোপন ভোট হচ্ছে।

এই নির্বাচনের মধ্যেই ইউক্রেনের ওদেশায় হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে ২০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৮ জন জরুরি পরিষেবাকর্মী। এ হামলায় আহত হয়েছের ৫০ জনেরও বেশি।