লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ইউরোপের অস্ত্র বাণিজ্য
গত পাঁচ বছরে আমেরিকা ব্যাতীত সারা বিশ্বে অস্ত্র বাণিজ্য কমেছে, তবে ইউরোপে বেড়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক অস্ত্র বাণিজ্য ৩ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে, আর এই একই সময়ে ইউরোপে অস্ত্র বাণিজ্য বেড়েছে প্রায় ৯৪ শতাংশ।
এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম ইউরো নিউজ জানিয়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে গাজা যুদ্ধ যুক্ত হওয়ায় ইউরোপে অস্ত্র বাণিজ্য লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে।
২০১৯ থেকে ২০২৩ মেয়াদে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকারক দেশ ছিল ইউক্রেন। দেশটি বৈশ্বিক অস্ত্র বাণিজ্যের ২৩ শতাংশ দখলে রেখেছিল। এর পরের অবস্থানে ছিল যুক্তরাজ্য (১১ শতাংশ) এবং তৃতীয় অবস্থানে ছিল নেদারল্যান্ডস (৯ শতাংশ)। এই সময়ে ইউরোপে আমদানি করা অস্ত্রের অন্যান্য উৎস ছিল এশিয়া, ওশেনিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য।
ইউরো নিউজ দাবি করেছে, ইউরোপীয় দেশগুলোর আমদানি করা অস্ত্রের ৫৫ শতাংশ সরবরাহকারী ছিল আমেরিকা। এ প্রসঙ্গে এসআইপিআরআইয়ের পরিচালক ড্যান স্মিথ বলেন, ‘প্রযুক্তি, সামরিক ও ব্যয়-সম্পর্কিত বিষয়ের পাশাপাশি ট্রান্স-আটলান্টিক সম্পর্ক বজায় রাখার লক্ষ্যসহ অনেক কারণে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো আমেরিকা থেকে অস্ত্র আমদানি করে। ভবিষ্যতে ট্রান্স-আটলান্টিক সম্পর্কের সঙ্গে ইউরোপীয় অস্ত্র সংগ্রহের নীতি বদলে যেতে পারে।’
গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছে আমেরিকা ও ফ্রান্স। ২০১৪–১৮ মেয়াদের চেয়ে ২০১৯–২৩ মেয়াদে প্রায় ১৭ শতাংশ বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছে আমেরিকা এবং একই সময়ে ফ্রান্সের অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে ৪৭ শতাংশ।
সর্বশেষ পাঁচ বছরে ১০৭টি দেশে অস্ত্র বিক্রি করেছে আমেরিকা, যা মোট বৈশ্বিক অস্ত্র রপ্তানির ৪২ শতাংশ। অন্যদিকে ফ্রান্স এবার সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করেছে ভারত, কাতার ও মিশরের কাছে।
ইউরো নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ১০টি অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়া ছাড়া পাঁচটি দেশই ইউরোপের। দেশগুলো হচ্ছে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও স্পেন।