প্রথমবারের মতো রোজায় জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে হবে আলোকসজ্জা
ইউরোপের অন্যতম অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশ জার্মানি। দেশটির ফ্রাঙ্কফুট শহর কর্তৃপক্ষ শন্তি ও ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে দিতে চায় শহর কর্তৃপক্ষ। এজন্য ফ্রাঙ্কফুর্টের একটি পরিচিত রাস্তা এবার রোজার পুরোটা সময় অর্ধচন্দ্র, তারা, বাতিসহ অনেককিছু দিয়ে সাজানো থাকবে৷
শহরের ‘গ্রোসে বকেনহাইমার স্ট্রাসে' সড়কে আলোকসজ্জা করা হবে৷ এই রাস্তা শুধু পথচারীরা ব্যবহার করেন৷ রাস্তার দুপাশে অনেক হোটেল ও রেস্তোরাঁ থাকার কারণে এটি ‘ফ্রেসগাস' বা খাবার সড়ক নামেও পরিচিত৷
‘‘রোজা এমন একটা সময় যখন মানুষ জীবনে সত্যিই কী গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝার চেষ্টা করে: খাওয়ার জন্য কিছু থাকা, মাথার উপর একটি ছাদ এবং পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের সাথে শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য,'' বলেন সিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিলিম আরসলানার৷
ফ্রাঙ্কফুর্টের মেয়র নারগেস এস্কান্দারি-গ্র্যুনব্যার্গ বলেন, যুদ্ধ ও সংকটের সময় শান্তি ও ঐক্যের বার্তা দেওয়া আরও জরুরি৷ রোজার সময় সড়কে যে আলো জ্বালানো হবে ‘‘সেগুলো হলো ঐক্যের আলো: কুসংস্কার, বৈষম্য, মুসলিমবিরোধী বর্ণবাদ এবং ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধেও'' বলেন তিনি৷
জার্মানির পঞ্চম বৃহত্তম শহর ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রায় আট লাখ মানুষ বাস করেন৷ এর মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশ বাসিন্দা (এক থেকে দেড় লাখ) মুসলিম৷
ফ্রাঙ্কফুর্টের মুসলমান সম্প্রদায়ের নেতা মোহামেদ সেদ্দাদি শহর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটা ‘‘মুসলমানদের জন্য অনেক অর্থবহ৷’’
আলোকসজ্জার জন্য শহর কর্তৃপক্ষের ৭৫ হাজার ইউরো খরচ হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র এস্কান্দারি-গ্র্যুনব্যার্গ৷
জার্মান সংসদের বর্তমান বিরোধী দল খ্রিষ্টীয় গণতান্ত্রিক ইউনিয়ন, সিডিইউর ফ্রাঙ্কফুর্টের প্রতিনিধি ইয়ানিক শ্ভান্ডার বলেন, ক্রিসমাসের সময় ফ্রাঙ্কফুর্টে যে আলোকসজ্জা করা হয় তার খরচ বাণিজ্য সংগঠন ও দান থেকে আসে৷ আলোকসজ্জার জন্য শহর কর্তৃপক্ষের অর্থ বরাদ্দ শুধু একটি ধর্মের জন্য থাকা উচিত নয় বলেও মনে করেন তিনি৷
তবে মেয়র বলছেন, ক্রিসমাসের সময় শহর কর্তৃপক্ষ ব্যবসা উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে আরও অনেক বেশি অর্থ খরচ করে থাকে৷
সূত্র: ডয়চে ভেলে