গাজায় ইয়াসির আরাফাতের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল ইসরায়েলি বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৩ PM

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের বর্বর হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না কোন কিছুই। ইতোমধ্যে গাজা প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।

এবার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী নেতা ও প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন পিএলও-র প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ইয়াসির আরাফাতের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার খবর বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েলি হামলায় বাড়িটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফিলিস্তিনের সংস্কৃতিমন্ত্রী আতেফ আবু সাইফ বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের মর্যাদা ও সংগ্রামের প্রতীক মুছে ফেলতে এই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সেইসঙ্গে এই ধ্বংসযজ্ঞ ইসরায়েলি সেনাদের বর্বরতার নতুন প্রমাণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।  

১৯৯৫ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত এই বাড়িতে বাস করেন ইয়াসির আরাফাত। এতে তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্র ছিল। বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। 

এর আগে গত নভেম্বরে দখলকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেমে ইয়াসির আরাফাতের স্মৃতিসৌধ ধ্বংস করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি মুক্তিসংগ্রামের মহান নেতা ইয়াসির আরাফাতের জন্ম ১৯২৯ সালে মিসরের কায়রোতে। কায়রোর ইউনিভার্সিটি অব কিং ফুয়াদ ওয়ানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন ১৯৪৪ সালে। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করলে তিনি অন্য ছাত্রদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে যুদ্ধে অংশ নেন। আজীবন একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বপ্ন লালন করে যাওয়া ইয়াসির আরাফাত সংগ্রাম করেছেন অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে।

নির্বাসিত জীবনের গ্লানি সহ্য করেছেন, এক দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্য দেশে। কখনো সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে, আবার কখনো আলোচনার টেবিলে বসে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবি জানিয়েছেন বারবার। জীবনের শেষ দিনগুলোতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী তাকে গৃহবন্দি করে রাখে। গৃহবন্দি থাকা অবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়।