তৃতীয় বছরে গড়ালো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ
আজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তৃতীয় বছরে গড়াল। পশ্চিমা বিশ্বের একের পর নিষেধাজ্ঞাতেও দমেনি রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলছেন, লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চলবে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের আভদিভকা শহর দখলের পর থেকে পশ্চিমের দিকে এগোচ্ছে রুশ বাহিনী।
২০২২ সালের আজকের এই দিনে অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান। শুরু থেকেই ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত ও নিরস্ত্রীকরণের কথা বলে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধ অস্তিত্বের লড়াই, এর মাধ্যমেই নির্ধারণ হবে রাশিয়ার ভবিষ্যত।
ইউক্রেনে বিশেষ অভিযানে মোতায়েন রয়েছে ৮ লাখ ১৭ হাজার রুশ সেনা। গত বছর আরও ৩ লাখ রুশ নাগরিককে যুদ্ধের জন্য ডাকা হয়। সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে নিবন্ধন করেছে প্রায় পৌনে ৫ লাখ মানুষ।
যুদ্ধের ২ বছরে হতাহত হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার রুশ সেনা। তিন গুণ বেড়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাজেট। এ বছর দেশটির রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের ৩০ শতাংশই যাবে যুদ্ধের পেছনে।
ইউক্রেনের প্রায় ১৮ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের সেনাদের অগ্রগতি খুবই সামান্য। দেশটির প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাবিশ্বের সামরিক সহায়তাও দিন দিন কমছে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর সামরিক সহায়তার প্যাকেজ ছাড়ও কমে গেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, পশ্চিমা শক্তিগুলোর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব পুতিনকে আরও আত্মবিশ্বাসী করেছে। এতে ইউক্রেনে যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে বলেও মনে করেন তারা।
বারবার নিষেধাজ্ঞা দিয়েও রাশিয়াকে নিরস্ত করা যায়নি। বরং ২ বছর ধরেই সমানভাবে লড়াই চালাচ্ছে রাশিয়া। ইউরোপের দেশগুলোর শঙ্কা, ন্যাটোর সদস্য অন্য দেশেও অভিযান চালাতে পারে রাশিয়া।