আজ জার্মানি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে আজ জার্মানির মিউনিখ যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে জার্মানির উদ্দেশ্যে রওনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের সভাপতি রাষ্ট্রদূত ড. ক্রিস্টোফ হিউজেনের আমন্ত্রণে এ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্তত সাত দেশ ও তিন আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে জার্মানির উদ্দেশ্যে রওনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সরকার গঠনের পর এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর।
গতকাল বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তানীতিবিষয়ক এ বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর জার্মানি সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি জানান, মিউনিখ সম্মেলনে প্রায় ৬০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, মিডিয়া, সুশীল সমাজ, সরকারি এবং বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রায় পাঁচশ প্রতিনিধি থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজনে এবং ক্লাইমেট ফিন্যান্স সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন। জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও উপস্থিত হবেন তিনি।
জার্মানির মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এবং ক্লাইমেট ফাইন্যান্সসংক্রান্ত একটি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন।
তিনি বলেন, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মিতে ফ্রেডিরিকসেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের জন্য সময় চেয়েছেন। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে সময় দিয়েছেন। সেখানে যুদ্ধ বন্ধের আলোচনাই হবে। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের ফলে ঢাকার সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে হেরফের হওয়ার প্রশ্নই আসে না। মস্কোর সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক অত্যন্ত উষ্ণ এবং ঐতিহাসিক।
তিনি বলেন, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জার্মানির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী সেভেনজা সুলজ, বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ এবং মেটার গ্লোবাল এফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলেও আশা করা যায়।
এ ছাড়া শেখ হাসিনা জার্মানিতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও অংশ নেবেন।আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ ত্যাগ করবেন এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকায় পৌঁছাবেন।