কর্মী সংকটের মাঝেও সপ্তাহে ৩ দিন ছুটি কার্যকর করল জার্মানি
জার্মানির চিত্রটা বছরপাঁচেক আগেও এমন ছিল না। কর্মক্ষেত্রে লোকের অভাব ছিল না। প্রায় সব ক্ষেত্রেই কাজের লোক ছিল। শুধু জার্মানরা নন, ভিন্দেশ থেকেও চাকরি করতে জার্মানিতে ভিড় করতেন বহু মানুষ। কিন্তু ২০২০ সালের পরে সে ছবি আচমকা পাল্টে যেতে থাকে। জার্মানি ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায়।
করোনার পর থেকেই কর্মী সংকটে ভুগছে ইউরোপের অন্যতম সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ জার্মানি। এর মধ্যেই মধ্যেই কয়েক ডজন কোম্পানি পরীক্ষামূলকভাবে কর্মীদের কাজের সময় কমিয়ে দিয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) থেকে ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির ৪৫টি কোম্পানি ও সংস্থা ছয় মাসের জন্য চার কার্যদিবসের সপ্তাহ চালু করেছে।
তবে এ সময় কাজ কম করলেও কর্মীরা পুরো বেতনই পাবেন। অলাভজনক সংস্থা ফোর ডে উইক গ্লোবালের (৪ডিডব্লিউজি) সঙ্গে যৌথভাবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইন্ট্রাপ্রেনর-এর নেতৃত্ব এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জার্মানিতে।
তারা বলেছে, সপ্তাহে চার কার্যদিবস চালু হওয়ায় কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বাড়বে। ফলে দেশটির দক্ষ কর্মী সংকটের উপশম হবে। জার্মানি দীর্ঘদিন ধরেই পরিশ্রম ও দক্ষতার জন্য বিখ্যাত। তারপরও গত কয়েক বছরে দেশটিতে উৎপাদনশীলতা কমে গেছে।
অর্থনৈতিক ফলাফলকে কর্মঘণ্টা দিয়ে ভাগ করে উৎপাদনশীলতার হিসাব করা হয়। কাজেই কর্মীরা যদি কম সময়ে একই ফলাফল দিতে পারেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই কোম্পানি এবং দেশের উৎপাদনশীলতা বাড়বে।
চার কার্যদিবস চালু করার পক্ষের লোকজন বলছেন, সপ্তাহে পাঁচ দিনের বদলে চার দিন কাজ করা কর্মীরা বেশি উদ্যমী ও চনমনে থাকেন। সে কারণে তারা বেশি উৎপাদনশীল হন। এছাড়া যারা সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ করতে আগ্রহী নন, এমন অনেক লোককে শ্রমশক্তিতে যুক্ত হতে আগ্রহী করবে এই মডেল। এতে কর্মী সংকটও অনেকটাই কমবে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে