২২ লাখ ফিলিস্তিনিকে একত্রে শাস্তির ব্যবস্থা করছে পশ্চিমারা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২৭ AM

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় জাতিসংঘের ১২ কর্মীর জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে দখলদার ইসরায়ে। তাদের অভিযোগের পর থেকে পশ্চিমা দেশ ফিলিস্তিন শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা- ইউএনারডব্লিউএ'র জন্য তহবিল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৯টি দেশ তহবিল বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের কারণে গাজা উপত্যকা অনিবার্য দুর্ভিক্ষের দিকে আগাচ্ছে এবং এটি ২২ লাখ ফিলিস্তিনিকে একত্রে শাস্তি দেওয়া বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যের অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ রিপোর্টার মাইকেল ফাখরি। খবর গার্ডিয়ানের।

গতকাল রবিবার (২৮ জানুয়ারি) মাইকেল ফাখরি বলেছেন, 'দুর্ভিক্ষ আসন্ন ছিল, এখন অনিবার্য হয়ে গেল। এই সিদ্ধান্তের ফলে ২২ লাখ ফিলিস্তিনি একত্রে শাস্তি পাবে।

গাজার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক ইতোমধ্যেই যুদ্ধের আগে ইউএনআরডব্লিউএ'র সহায়তার উপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ছিল। সংস্থাটির সহায়তা এত প্রয়োজনীয় যে কিছু ক্ষেত্রে হামাস পরিচালিত রাষ্ট্রীয় পরিষেবাগুললোকেও ছাপিয়ে যায়। সংস্থাটি ফিলিস্তিনে স্কুল, চিকিৎসা সেবা, স্থানীয় বেকারির জন্য ময়দা প্রদান করে এবং বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করার জন্য ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট পরিচালনা করে আসছে।

তহবিল স্থগিত হওয়া অবরুদ্ধ উপকূলীয় অঞ্চলে সামান্য সরবরাহ পৌঁছানোকেও ইতোমধ্যে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলেছে। ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ লরির প্রয়োজন হয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘসহ মানবিক সংস্থাগুলো। তবে এই মুহূর্তে মিশরীয় এবং ইসরায়েলি চেকপয়েন্ট অতিক্রম করতে পারছে ১০০ এর কম লরি।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের জানিয়েছেন, ইউএনআরডব্লিউএ ১২ জন কর্মীকে ইসরায়েল শনাক্ত করেছে। অভিযোগের সাথেসাথেই এর মধ্যে নয়জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। একজন নিহত হয়েছে এবং আরো দুই জনের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে। এই ব্যাপারে জাতিসংঘের তদন্ত শুরু হয়েছে।

৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১ হাজার ১৪০ জন ইসরায়েরি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৬ হাজার ৪০০ জনের বেশি।
সূত্র: আল জাজিরা