শতাধিক অবৈধ অভিবাসীকে আটক করল কুয়েত
অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে বেশ কিছু দেশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম মালয়েশিয়া ও সৌদি আরব। এবার আবাসন ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে কুয়েতে শতাধিক বাসিন্দাকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত তিন সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গালফ নিউজ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে বলছে, চলতি সপ্তাহে জেলিব আল শুইউখ, আল ফারওয়ানিয়া ও আল ফাহাহিল এলাকায় নিরাপত্তা অভিযান চালিয়ে কয়েকটি দেশের অন্তত ১২০ জন নাগরিককে আটক করা হয়। মূলত অবৈধভাবে কুয়েতে অবস্থানের কারণেই তাদের আটক করা হয়েছে।
কুয়েতের একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ‘অনিয়মিত শ্রমিক, আবাসন ও শ্রম আইন লঙ্ঘনকারীদের শনাক্ত এবং দেশ থেকে বিতাড়িত করার লক্ষ্যে কুয়েতজুড়ে অভিযান চলমান আছে।’
সম্প্রতি অবৈধ বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেয় কুয়েত। একইসঙ্গে অবৈধ প্রবাসীদের আশ্রয়দাতাকেও সেখান থেকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি দেয়া হয়েছে। দেশটির নিরাপত্তা সূত্র বলছে, অবৈধ প্রবাসীদের বেআইনিভাবে আশ্রয়দাতা ব্যক্তি কিংবা চাকরিদাতা কোম্পানির বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ১৯ হাজার ৩২১ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দেশটিতে। আবাসন, শ্রম এবং নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ হাজার ৪২৭ জন আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে, ৪ হাজার ৬৯৭ জন অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার দায়ে এবং তিন হাজার ১৯৭ জন শ্রম আইন লঙ্ঘন করার দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এ ছাড়া অবৈধভাবে সৌদিতে প্রবেশের দায়ে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৩১ শতাংশ ইয়েমেনি, ৬৭ শতাংশ ইথিওপিয়ান এবং ২ শতাংশ অন্যান্য জাতীয়তার ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর দেশটির আবাসন ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে রেকর্ড ৪২ হাজার প্রবাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠায় কুয়েত। চলতি মাসের শুরুর দিকে সরকারি এক আদেশ স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এর ফলে ২০২০ সালের আগে দেশটিতে পৌঁছানো অবৈধ প্রবাসীরা নির্দিষ্ট জরিমানা প্রদানের বিনিময়ে দেশটিতে বৈধ হওয়ার যে সুযোগ পেতেন, তা থেকে বঞ্চিত হবেন।