কাতার-ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় নতুন যে চুক্তিতে পৌঁছালো হামাস ও ইসরায়েল
গাজা ইস্যুতে ইসরায়েল ও হামাসের সঙ্গে নতুন একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে কাতার। এর আওতায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওষুধ এবং মানবিক সহায়তা প্রদানের বিনিময়ে হামাসের কাছে জিম্মি ইসরায়েলিদের কাছে ওষুধ সরবরাহ করা হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়া সিএনএন, এপি, বিবিসি, আল জাজিরা, নিউ ইয়র্ক টাইসের প্রতিবেদনেও একই তথ্য উঠে এসেছে।
কাতার এবং ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপক্ষের প্রতিনিধিদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলি বন্দীদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের বিনিময়ে গাজা উপত্যকার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে মানবিক সহায়তা ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হবে।
তবে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসনে পর্যুদস্ত ফিলিস্তিনিদের কী ধরনের ও কী পরিমাণে সহায়তাসামগ্রী দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।
জানা গেছে, ওষুধ ও সাহায্য বুধবার দোহা ছেড়ে গাজায় পাঠানোর আগে মিসরে যাবে। তারপর রাফাহ ক্রসিং পার হয়ে সেগুলো গাজায় পৌঁছাবে।
এর আগে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্রাইসিস সেন্টার প্রধান ফিলিপ্পে লালিয়ত জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে আলাপ-আলোচনার পর এই চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা আশা করছি, এই সমঝোতা আরও বেশি জিম্মির মুক্তির পথ প্রশস্ত করবে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার প্রতিশোধস্বরূপ গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েলি। ১০৩ দিন ধরে চলা এই আগ্রাসনে গাজায় ২৪ হাজার ২৮৫ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ৬১ হাজার ১৫৪ জন ফিলিস্তিনি। ধ্বংস হয়েছে গাজার প্রায় ৭০ ভাগ অবকাঠামো।
২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘোষিত এক মানবিক বিরতির সাত দিনে মোট ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বাকি ১৩২ জন এখনও তাদের হাতে আটক রয়েছে।