ইকুয়েডরে টেলিভিশনের লাইভ অনুষ্ঠানে বন্দুকধারীদের হামলা
টেলিভিশন স্টুডিওতে লাইভ অনুষ্ঠান চলছিল। কিন্তু এই সময়েই ঘটে গেল এক অঘটন। লাইভ অনুষ্ঠান চলার সময় বন্দুকধারীরা হামলা করেছে। এ সময় একজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ইকুয়েডরের গুয়াইকিল শহরে টিসি নামের ওই টেলিভিশন স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়া একই তথ্য জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সও।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে এক দুর্ধর্ষ মাদক কারবারিদের হোতা অ্যাডলফো মাসিয়াস কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর গত সোমবার ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এর পরদিনই এমন ঘটনা ঘটল। মাদকপাচার, হত্যা ও সংঘবদ্ধ অপরাধের দায়ে অ্যাডলফোকে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, বন্দুকধারীরা সকলেই হুডি পরা ছিল এবং তাদের হাতে বন্দুক ছিল। তারা সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে ঢুকে পড়ে গুলি চালায় ও অনুষ্ঠানের কর্মীদের হুমকি দেয়। সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে তাদের দেখাও গেছে। এ সময় অনুষ্ঠানের কর্মীরা ভয় পেয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়েন। একপর্যায়ে লাইভ সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। এর আধা ঘণ্টা পর পুলিশ সেখানে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, টেলিভিশন স্টেশনটি থেকে কর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ছাড়া একই দিনে ইকুয়েডরের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ৭ জন পুলিশ সদস্যকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে অপরাধী চক্রটি। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, অপহৃত এক পুলিশ সদস্যকে দিয়ে প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে একটি লিখিত বক্তব্য পড়ানো হচ্ছে এবং সেই বক্তব্যে তিনি বলছেন, আপনি (প্রেসিডেন্ট) যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, আপনি যুদ্ধই পাবেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন তরুণ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক দানিয়েল নোবোয়া। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে নিজের প্রত্যয়ের কথা জানান তিনি। গত রোববার অ্যাডলফোকে ৩৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পরদিন মাদক চক্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট নোবোয়া।